নয়াদিল্লি: তিনি কেন্দ্রের সরকারকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সঙ্কট মোকাবিলায় যেসব প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেগুলি কেবলমাত্র আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে, তাও অত্যন্ত দায়সারা ভাবে। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সনিয়া গাঁধী।
দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী মঞ্চ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বড় মন, সহানুভূতি, আন্তরিকতার যে অভাব আছে, সেটা স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, তিন সপ্তাহ আগে আমাদের বৈঠকের পর থেকে এই অতিমারী বহরে ও দ্রুততায়, গতিতে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। আমি আমাদের পক্ষ থেকে গঠনমূলক সহযোগিতার হাত বাড়াই, নানা সুপারিশ,প্রস্তাব দিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, সেগুলি কেবলমাত্র আংশিক রূপায়ণ করা হয়েছে এবং খারাপ ঢঙে। খেতমজুর, পরিযায়ী শ্রমিক, নির্মাণশ্রমিকদের মতো সমাজের বেশ কিছু অংশ, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা তীব্র সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়ে সনিয়া বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে, কোটি কোটি মানুষের রুটি-রুজি, জীবিকা ধ্বংস হয়েছে। আমরা বারবার প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছি, পরীক্ষা করে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা, খুঁজে বের করা, কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ছাড়া রাস্তা নেই। কোনও বিকল্প নেই এর। দুর্ভাগ্যজনক হল, টেস্ট করানো হচ্ছে খুবই কম, চাহিদার তুলনায় টেস্টিং কিটের সরবরাহ কম এবং সেগুলি খারাপ মানের। পিপিই কিটেরও সংখ্যা কম, সেগুলিরও গুণমান খারাপ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরবর্তী স্তরে কংগ্রেসের যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছেন সনিয়া, তার সদস্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, লকডাউনের সাফল্য শেষপর্যন্ত যাচাই হবে আমরা কতটা কোভিড-১৯ এর মোকাবিলা করতে পারলাম, তার ওপর। কোভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়ে সাফল্যের মূল কথা হল কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির সহযোগিতা।
২৩ মার্চ থেকে সনিয়া করোনাভাইরাস অতিমারী সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছেন মোদিকে। তাতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে প্রাপ্য খাদ্য়শস্য ছা়ড়াও মাথাপিছু ৫ কেজি করে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সনিয়া। পাশাপাশি অগনিত প্রান্তিক মানুষের জীবনে লকডাউনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় একাধিক প্রস্তাবও দিয়েছেন।