: রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত আপাতত কেটেছে। রাজারহাট ও এম আর বাঙ্গুর- আজ সকাল থেকে শহরের দুটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দেখে নিন আর কোথায় কোথায় তাদের যাওয়ার কথা।


পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় ঘোরার কথা এই দু’টি কেন্দ্রীয় দলের। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কালিম্পং, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি। এই ৭টি জেলার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে করোনা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। যদিও শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে গত ১৪ দিনে করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি।

এদিকে মঙ্গলবারের পর বুধবারও সচেতনতা প্রচারে রাস্তায় নামেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোরেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন বিকেলে প্রথমে নবান্ন থেকে খিদিরপুরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাইকিং করে সাধারণ মানুষের প্রতি লকডাউন মেনে চলার আর্জি জানান তিনি। খিদিরপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান পার্ক সার্কাসে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আসেন বালিগঞ্জ ফাঁড়ি।

তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন রাস্তায় নেমে সচেতনতা প্রচার করছেন, তখন নাম না করে এ নিয়ে কটাক্ষ শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের মুখে। জগদীপ ধনকড় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার বলছি, কথা বলুন, আমার কাছে এমন কিছু তথ্য আছে যা ওঁকে বলতে হবে। উনি ছবি তুলছেন, রাস্তায় ঘুরছেন, মাইকিং করছেন, এগুলো ভালো, কিন্তু উনি আমাকে গতকাল লিখে জানিয়েছেন, উনি কোভিড নিয়ে মনকষ্টে আছেন। জবাবে তৃমমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যপাল সরকারি রাজস্বের টাকায়, সরকারের বরাদ্দ অর্থে চলছেন, আর শুধু সরকারের সমালোচনা করছেন। একটা বিষয় বলুন, যেটা রাজ্যের ভালর জন্য বলছেন, সবসময় রাজ্যের সমালোচনা, অনেক রাজ্যপাল দেখেছি, এমন দেখিনি।