২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে যাওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে মোদি বলেন, ‘সুষমাজির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনি বলেন, আগামীকাল আপনাকে ভাষণ দিতে হবে। চলুন, একসঙ্গে বসে সে বিষয়ে আলোচনা সেরে নিই। এরপর তিনি জানতে চান, আমার ভাষণ লেখা কাগজ কোথায়? আমি বলি, কোনওদিনই ভাষণ লিখে নিয়ে যাই না। তাতে আমার অসুবিধা হয়। তখন সুষমাজি আমাকে বলেন, এভাবে হয় না ভাই। আপনাকে সারা বিশ্বের সামনে ভারতের বিষয়ে বলতে হবে। আপনি যা খুশি বলতে পারেন না। আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম আর তিনি বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব ছিলেন...। আমি নবরাত্রির উপবাসে ছিলাম। দীর্ঘ যাত্রার ধকলও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আমার মতামত জানতে চান। তাঁর অনুরোধেই খসড়া বক্তৃতা লেখা হয়। একজন ভাল বক্তা হতে পারেন, কিন্তু কয়েকটি জায়গার নিজস্ব রীতি-নীতি আছে। সেটাই আমাকে প্রথম শেখান সুষমাজি।’
এই শোকসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিজেপি কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা, কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা, তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্র, এলজেপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ান, শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাবন্ত ও বিরোধী নেতা শরদ যাদব।