নয়াদিল্লি: খালি করে দেওয়া হল দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগ-এ-জামাতের অনুষ্ঠান স্থল। গত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২৩৬১জনকে ওই স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। ৬১৭জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে।


এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই নিজামুদ্দিন।

মধ্য মার্চে দেশ-বিদেশ থেকে ইসলাম সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ দিল্লিতে নিজামুদ্দিনে তবলিগ-এ-জামাত ইজতেমার ধর্মীয় সম্মেলনে যোগ দেন। লকডাউনের জেরে সেখানেই আটকে পড়েন ২৩৬১ জন! মঙ্গলবার থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার অপারেশন চালিয়ে নিজামুদ্দিনের ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে সকলকেই বার করে এনেছে পুলিশ।

সকলকে উদ্ধার করার পর আজ দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়। যথাযথ সুরক্ষাবিধি মেনেই কর্মীরা জীবাণুনাশের কাজ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এখন দেশজুড়ে ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের খুঁজে বার করতে মরিয়া বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা।

দিল্লি পুলিশের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ এই সমাবেশের উদ্যোক্তাদের ডেকে পুলিশের তরফে ওই এলাকায় খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বোঝানো হয় যে লকডাউন চলছে। এতজন একসঙ্গে থাকা যাবে না। অভিযোগ, পুলিশের সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই একসঙ্গে ছিলেন অনেকে।

বুধবার সকালে ২৩৬১জনের হদিশ পেয়ে স্তম্ভিত পুলিশ। এদিকে, ২৮ মার্চ সংগঠনের অন্যতম সদস্য মৌলানা সাদকে পুলিশের নোটিস পাঠানো হয়। তারপর থেকে তার আরও কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এফআইআরে নাম জুড়েছে মৌলানা সাদেরও।

বুধবার সিসোদিয়া ট্যুইটারে লেখেন, ‘প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন, পুলিশ ও ডিটিসির কর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করেছেন। সকলকে কুর্নিশ জানাই।’