রাজনৈতিক মহলের অবশ্য বক্তব্য, এই ট্যুইটের মাধ্যমে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু কুমারীকে কটাক্ষ করেছেন তেজপ্রতাপ। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ২০২০-কে ‘বিশ হাজার বিশ’ বলে উল্লেখ করেছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য তিনি ট্রোলড হন। সেই কারণেই ট্যুইটে সে কথা উল্লেখ করেছেন তেজপ্রতাপ।
এই ট্যুইটের পর অন্য একটি ট্যুইট করে সবাইকে ২০২১ সালের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেজপ্রতাপ। এক্ষেত্রে তিনি কোনও ভুল করেননি। স্বাভাবিকভাবেই ট্যুইট করেছেন তিনি।
তেজপ্রতাপের অবশ্য বিতর্কে জড়ানো নতুন নয়। বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের মে মাসে আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিয়ে হয় তেজপ্রতাপের। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মধ্যেই ঝামেলা বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর। তেজপ্রতাপ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেন। সেই মামলা চলছে ফ্যামিলি কোর্টে। বিচারক দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা করলেও সমস্যা মেটেনি। লালু পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর করেছেন ঐশ্বর্য। তাঁর দাবি, রাবড়ি ও তাঁর বড় মেয়ে মিসা ভারতী তাঁকে মারধর করেন, খেতেও দিতেন না। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায়, ঐশ্বর্য কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছেন। লালুর বাসভবনেপ বাইরে এ নিয়ে পুলিশকেও দেখা যায়। মিসা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যে। ইদের পর মাত্র তিনবার আদালতের কাজে পটনা আসেন তিনি। যেদিন এসেছেন, সন্ধেতেই ফিরে গিয়েছেন। এই অল্প সময়ে ঐশ্বর্যার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎই হয়নি, মারধর তো দূরের কথা।
গত বছরের জুনে অনলাইনে নতুন একটি মঞ্চ ‘তেজ সেনা’ চালু করার কথা ঘোষণা করেন তেজপ্রতাপ। তাঁর এই মঞ্চ চালু করানিয়ে প্রশংসার ছলে লালু পরিবারের গৃহবিবাদ নিয়ে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। তেজপ্রতাপের এই মঞ্চ চালু নিয়ে লালুর ছোট ছেলে তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে কটাক্ষ করে বিজেপি।