নয়াদিল্লি: রাজস্থানের জনসভা থেকে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর নাম না করেই মা, ছেলেকে হুঙ্কার নরেন্দ্র মোদির। গতকালই সুপ্রিম কোর্ট দুজনের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা সংক্রান্ত ২০১১-১২ বছরের আয়কর মামলা ফের চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পরদিন বুধবার পালিতে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী চারটি প্রজন্ম ধরে গাঁধী পরিবার বিশেষ খাতির উপভোগ করেছে বলে অভিযোগ তুলে বলেন, গতকালের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সততার জয়’ হয়েছে। এবার দেখব আপনারা কী করে পালান।
সেইসঙ্গে মোদি বলেন, একজন চাওয়ালার সাহস দেখুন যে কিনা যাদের চার প্রজন্ম দেশ শাসন করেছে, তাদের আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছে। তাঁর সরকার জিতেছে বলেও দাবি করেন মোদি।
ইউপিএ আমলের ৩৬০০ কোটি টাকা মূল্যের অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড চপার ডিলে মিডলম্যান বলে অভিযুক্ত ক্রিশ্চিয়ান মাইকেল জেমসের গতকাল ভারতে প্রত্যর্পণের উল্লেখ করেন তিনি। রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া ফেলার ক্ষমতা সম্পন্ন এই মামলা প্রসঙ্গে মোদি বলেন, হেলিকপ্টার কেনায় দুর্নীতিতে জড়িত এক দালালকে দুবাই থেকে দেশে নিয়ে এসেছে সরকার। সে রাজনৈতিক নেতাদের সেবা করেছে, এবার সব গোপন কথা ফাঁস করবে। দেখা যাক, কতদূর কী বলে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মোদি জনতার কাছে প্রশ্ন করেন, কারা জাতপাতের বিষ ছড়িয়েছে, গ্রাম-শহর ভেদাভেদ চালু করেছে।
কংগ্রেস নির্বাচনে হেরে বসে আছে, এখন পরাজয়ের জন্য কাকে দায়ী করবে, তাকে খুঁজছে বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কংগ্রেসের ‘গাজে-বাজে’ কোম্পানি রাজস্থানে বিজেপি শেষ হয়ে গিয়েছে ভেবেছিল। আর এখন বলছে, অন্তর্কলহ, বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য হারবে।
মোদি দাবি করেন, মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, বিজেপিই ফের সরকার আসবে। এখন আমাদের কাজ, রাজস্থানে সব বুথে জিততে হবে। মেরা পোলিং বুথ, সবসে মজবুত, এটাই আমাদের স্লোগান।