নয়াদিল্লি ও কলকাতা: রাজ্যের গণ্ডী ছড়িয়ে তা আগেই পৌঁছেছিল দিল্লিতে।এবার পৌঁছলো সংসদে!রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও জোরাল করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল কেন্দ্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তা নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ধনকড়।বললেন, তিনি রাজ্যে পর্যটক হিসেবে আসেননি।
রবিবার সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। অবিলম্বে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর আচরণের কৈফিয়ৎ চাওয়ার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে আক্রমণ শানান সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল বাংলায় যা করছেন, তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ওঁকে দিয়ে রাজনীতি করাচ্ছেন কেন? রাজনীতি যদি করতেই হয়, তাহলে রাজভবন ছেড়ে দিয়ে করুন।


কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে রাজ্যপালের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন। এ রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। সে প্রসঙ্গে এ দিন ধনকড় ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিমানবন্দর থেকে সর্বত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট লাগানো রয়েছে। কোথাও আমার কাটআউট রয়েছে কি? তিনি বলেছেন, জেলা সফরে গেলে কোনও পুলিশকর্তা আসেননি।সেক্রেটারিরা ব্রিফ করেননি। তাহলে কীকরে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন তিনি?

রাজ্যপাল বলেছেন, আমি এখানে পর্যটক হিসেবে আসিনি। সংবিধান মেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি এবং আগামীদিনেও নির্ভীকভাবে তা করে যাবেন।

সব মিলিয়ে শীতের শুরুতেও তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি।