নয়াদিল্লি: দেরিতে চলার ফলে সময় নষ্ট হলে, তা পুষিয়ে দিতে ট্রেন চালকদের টপ স্পিড তোলার অনুমতি দিল রেলমন্ত্রক। এর আগে, ২০০০ সালে গতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, সময় অনুযায়ী চললেও ট্রেনগুলি তাদের সর্বোচ্চ অনুমতিযোগ্য গতি (এমপিএস) তুলতে পারবে। কিন্তু, চালকরা এই গতি তুলতেন না।


রেলের এক আধিকারিকের দাবি, চালকদের ভয় থাকত, যদি গতি বাড়ানোর চক্করে তাঁরা ধরা পড়েন, তাহলে তাঁদেরবড় শাস্তি হতে পারে। যার ফলে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ধাক্কা খেত। এরপরই, গতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় রেলমন্ত্রক। নতুন নির্দেশকায় বলা হয়েছে, একমাত্র নষ্ট হলে তবেই সর্বোচ্চ নির্ধারিত গতি তোলা যাবে।


আগামী ১৫ অগাস্ট, ট্রেনের নতুন সময়-সূচি প্রকাশ করবে রেলমন্ত্রক। সেখানে প্রত্যেক ট্রেনের গতি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া থাকবে। সূত্রের খবর, যে ট্রেনের এমপিএস ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, সেগুলির স্বাভাবিক নথিভুক্ত গতি থাকবে ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। একইভাবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এমপিএস থাকা ট্রেনের স্বাভাবিক নথিভুক্ত গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার।


রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির এমপিএস ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার হলেও, সেগুলি সাধারণত ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটারের গতি তোলে। রাজধানী ও শতাব্দীর মত ট্রেনগুলির এমপিএস ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার হলেও সেগুলি ৮০-৯০ কিলোমিটারেপ বেশি গতি তোলেনা। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, চলতি বছর ৩০ শতাংশ ট্রেন দেরিতে চলেছে। যার ফলে, ট্রেনগুলিকে রেলের নির্দেশ, সময় নষ্ট হলে, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নথিভুক্ত গতি তুলে তা পুষিয়ে দিতে।