নয়াদিল্লি: বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিন তালাকের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া প্রথম মুসলিম মহিলা শায়রা বানোর সাফাই, মুসলিম মহিলাদের প্রতি পদ্মফুল প্রতীকধারী পার্টির প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে ওই দলে সামিল হতে অনুপ্রাণিত করেছে।
শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন উত্তরাখন্ডের উধম সিংহ নগরের কাশীপুরের বাসিন্দা শায়রা। তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির উত্তরাখন্ড রাজ্য সভাপতি বংশীধর ভগত।
শায়রা জানিয়েছেন, বিজেপি সংখ্য়ালঘু-বিরোধী, এই ভুল ধারণা তিনি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এপ্রসঙ্গেই তিনি বলেন, মূলত মুসলিম মহিলাদের প্রতি বিজেপির প্রগতিশীল মনোভাব, তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণা করায় তারা যে দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদির সবাইকে উন্নয়নে সামিল করার দৃষ্টিভঙ্গি-এসব দেখেই আমি বিজেপিতে এসেছি। আমি সংখ্যালঘুদের প্রতি দলের ন্যায়ের মনোভাবে আস্থাশীল। বিজেপি সংখ্য়ালঘুদের বিরোধী বলে ভ্রান্ত ধারণার চল আছে, সেটা ভেঙে দেওয়া উচিত।
মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষায়, তাদের উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চান বলেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, জানান শায়রা।
শায়রার স্বামী তাঁকে স্রেফ স্পিড পোস্ট করে তালাক দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তার চার মাস বাদে তিনি সুপ্রিম কোর্টে এই প্রথার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেন।


তিনি কি নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হতে চান? শায়রার জবাব, টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে বিজেপিতে আসিনি। তবে যে কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হোক, আমি নিতে প্রস্তুত। মুসলিম মহিলারা আজও অবিচারের শিকার। উচ্চশিক্ষার সুযোগ তারা পায় না। ওদের সামাজিক অগ্রগতি, ক্ষমতায়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য়।
তিন তালাকের বিরুদ্ধে যে জেদ নিয়ে শায়রা আইনি পথে লড়েছেন, সেই একই জেদের সঙ্গে বিজেপির আদর্শের জন্য লড়বেন বলে তিনি আশা করেন, জানিয়েছেন বংশীধর ভগত।