কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর)। তেলঙ্গানায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে অন্য দলগুলিকে একজোট করে ফেডেরাল ফ্রন্টের তত্ত্ব বাস্তবায়নে জোর উদ্যমে নেমে পড়েছেন তিনি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি, কংগ্রেসের বিকল্প শক্তি জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি গতকাল ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে বৈঠক করেন। ঘটনাচক্রে নবীন কংগ্রেস বা বিজেপি, কারও শিবিরেই নেই।
আজ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কেসিআর বলেন, আমাদের আলোচনা চলবে। খুব শীঘ্রই একটি শক্তপোক্ত প্ল্যান ঠিক করব আমরা। আমার অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি জোট গঠনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। এটা সহজ কাজ নয়। সঠিক সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আগামী ২-৩ দিনে নয়াদিল্লিতে বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি (সপা) সভাপতি অখিলেশ সিংহ যাদবের সঙ্গেও কেসিআর দেখা করতে পারেন বলে খবর।
এর মধ্যেই নিজের দল টিআরএসকে মজবুত করার লক্ষ্যে ছেলে তথা সিরিসিলার বিধায়ক কে টি রাম রাওকে দলের অস্থায়ী সভাপতি পদে বসিয়েছেন কেসিআর, নিজেকে নিয়োজিত করেছেন জাতীয় রাজনীতিতে।
টিআরএস সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই তাঁর প্রথম রাজধানী সফর বলে কেসিআর নয়াদিল্লি থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন, তেলঙ্গানার নানা বকেয়া ইস্যু নিয়েও কথা বলতে পারেন তাঁর সঙ্গে।



কেসিআর-এর বিভিন্ন দলকে নিয়ে জোট গঠনের উদ্যোগের মধ্যেই তাঁকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ‘আপনি যদি বর্জনের কথা বলেন এবং যে দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চাইছে তাদের সঙ্গে না থাকার কথা বলেন, তাহলে আপনি বিভাজনের রাজনীতি করছেন। আপনি শাসক দলকে সাহায্য করতে চান। আমার মনে হয় না অন্য দলগুলি এই ফাঁদে পা দেবে।’



কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও ট্যুইটে কেসিআর-কে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘কেসিআর-এর ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ বিজেপি সরকারকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ভাগ করে দিচ্ছে। কেসিআর আসলে মোদী-শাহের এজেন্ট। তিনি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ভাগ করতে চাইছেন।’