জয়পুর: রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট এখন দিল্লিতে। কয়েক মাস আগে যে বিষয়গুলির নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও পূরণ হয়নি। এই অভিযোগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে দিল্লিতে এসেছেন সচিন। সবমিলিয়ে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত শিবিরের সঙ্গে সচিন অনুগামীদের ফাটল ফের প্রকাশ্য এসেছে। এরইমধ্যে সচিন অনুগামী বলে পরিচিত দৌসা জেলার চাকসু বিধানসভা আসনের বিধায়ক বেদ প্রকাশ সোলাঙ্কির অভিযোগ কংগ্রেসের দুই শিবিরের সংঘাত আরও জোরাল করেছে। তাঁর অভিযোগ, বিধায়কদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, অনেক আধিকারিকই তাঁকে বলেছেন যে, বিধায়কদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এভাবে বিধায়কদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে।
তাঁর অভিযোগের পরই মুখ্যমন্ত্রী গেহলৌতকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেছেন, এক বছর আগে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সচিন পায়লটকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একজন বিধায়ক যদি এমন অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে বলতে হয় যে, রাজ্যে অষোঘিত জরুরি অবস্থা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী গেহলৌত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ জন্য দায়ী। কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে রাজ্যে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রাজস্থান কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সচিন পায়লট এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে, সচিন শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে সচিন শুক্রবার রসিকতা ছলে বলেন যে, বিজেপি সম্ভবত সচিন তেন্ডুলকরের কথা বলছে।
রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রিসভা ও দলের পদে তাঁর অনুগামীদের জায়গা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছেন।
জিতিন প্রসাদ সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে যে, কংগ্রেসের আরও কিছু অসন্তুষ্ট নেতা দল ছাড়তে পারেন। আর দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সেই জল্পনা আরও জোরাল করেছে।