নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খালিদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে দুই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা পঞ্জাবের একটি গ্রামে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। কিন্তু তাঁরা গতকাল আত্মসমর্পণ করতে আসেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের একটি দল শিখ বিপ্লবী কর্তার সিং সারাভার গ্রামে গিয়েছিল। অভিযুক্ত দরবেশ সাহপুর ও নবীন দলাল ওই গ্রামেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই দুজন সেখানে আসেননি এবং হরিয়ানার ঝজ্জরে তাঁদের গ্রামেও ওই দুজনকে বেশ কয়েকদিন ধরে দেখা যায়নি।
গত ১৫ আগস্ট ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ওই দুই ব্যক্তি উমরের ওপর হামলার দায়স্বীকার করেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে, নাগরিকদের ‘স্বাধীনতা দিবসের উপহার’ দিতে তাঁরা উমরের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন।
পুলিশ ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখছে। যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে ওই ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


ওই ভিডিওর মাধ্যমে ওই দুই ব্যক্তি পুলিশকে উমরের ওপর হামলার ঘটনায় অন্য কাউকে হেনস্থা না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, পঞ্জাবের গ্রামে ১৭ আগস্ট তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন উমর। যদিও অক্ষত অবস্থায় রেহাই পান তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ স্পেশ্যাল সেলের হাতে এই মামলা তুলে দেয়। এই স্পেশ্যাল সেলই উমর সহ জেএনইউ-র অন্য দুই ছাত্রর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের তদন্ত করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার উমরের অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের কাছে আগাম কোনও খবর দেওয়া হয়নি। উমরের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হামলার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক ফরেনসিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, উমরের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সময় পিস্তলটি জ্যাম হয়ে গিয়েছিল।
ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, ওই ঘটনায় গুলি চলেছিল কিনা, তা নিশ্চিতভাবে জানার চেষ্টা চলছে। কারণ, ঘটনাস্থলে কোনও খালি কার্তুজ পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।