নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন জল্পনা চলছে।এই জল্পনার মধ্যেই খবর যে, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য হিসেবে ২৭ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুশীল মোদি, সর্বানন্দ সোনোয়াল, নারায়ণ রানে, ভূপেন্দ্র যাদবের মতো হেভিওয়েটের নাম। মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য বড়সড় রদবদলে তাঁরা জায়গা পেতে পারেন। 
কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা জ্যোতিরাদিত্যর দলবদলে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে পেরেছে বিজেপি। মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন তিনি। এছাড়াও বিহারে বিজেপি নেতা সুশীল মোদিও মন্ত্রী হতে পারেন। তিনি বিহারে নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবার তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, তাঁকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা হতে পারে। এছাড়াও বিজেপির সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দুই মুখ দলের সাধারণ সম্পাদক রাজস্থানের ভূপিন্দর যাদব ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন বলে খবর। পশ্চিমবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে জোরাল প্রচার চালিয়েছিলেন। 
বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর ইসলামের নামও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে বিবেচনাধীন বলে মনে করা হচ্ছে। 
সম্প্রতি অসমে বিধানসভা ভোট বিজেপির জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় সর্বানন্দ সোনোয়ালকে। সেই সোনোয়ালকে এবার কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হতে পারে। 
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে, মহারাষ্ট্রের বিড়ের সাংসদ প্রীতম মুণ্ডে ও গোপীনাথ মুণ্ডের মেয়ের নামও এই রদবদলের তালিকায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিজেপির প্রধান স্বতন্ত্র দেব নিশ্চিতভাবেই মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন বলে খবর। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। ভোটে বিজেপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। 
মহারাজগঞ্জের সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরী, বরুণ গাঁধী ও জোট শরিক দলের অনুপ্রিয়া পটেলও সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন বলে খবর। 
রাজ্যসভা সাংসদ অনিল জৈন, ওড়িশার দলের নেতা অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর নামও তালিকায় রয়েছে বলে খবর। 
রাজস্থান থেকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিপি চৌধুরী, রাজস্থানের চুরু থেকে নির্বাচিত কনিষ্ঠতম সাংসদ রাহুল কাসওয়ান ও সিকরের সাংসদ সুমেধানন্দ সরস্বতী।
দিল্লি থেকে একমাত্র সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন নয়াদিল্লির সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। 
এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন পশুপতি পারস। তিনিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। এছাড়াও জেডিইউ-র দুই নেতা আরসিপি সিংহ ও সন্তোষ কুমারের নামও তালিকায় রয়েছে বলে খবর। 
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে কর্ণাটকের প্রতিনিধি হিসেবে থাকতে পারেন রাজ্যসভা সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল ও আমেদাবাদ পশ্চিমের সাংসদ কীর্তি সোলাকির নামও বিবেচনাধীন বলে জানা গেছে। 
হরিয়ানা থেকে সিরসার সাংসদ তথা প্রাক্তন আয়কর আধিকারিক সুনীতা দুগ্গল সম্ভাব্যদের মধ্যে রয়েছেন। লাদাখের সাংসদ জামইয়াং টিসেরিং নামগিয়াল ২০১৯-এ সংসদে তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ দলের শীর্ষ নেতাদের মন জয় করেছিলেন। এবার মন্ত্রিসভায় তাঁর জন্যও দরজা খুলতে পারে। 
রাম বিলাস পাসোয়ান ও সুরেশ অঙ্গদির মৃত্যু এবং শিবসেনা ও অকালি দলের জোট ছেড়়ে বেরিয়ে যাওযার কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল খুব শীঘ্রই হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। তা হলে ২০১৯-র নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন পর এটাই হবে মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণ।