কলকাতা: সোমবার থেকে বিভিন্ন অফিসে ৭০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু হল রাজ্যে। কলকাতা পুরসভা সোমবার থেকে ১০০ শতাংশ কর্মীদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অফিস-কাছারি পৌঁছাতে গিয়ে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককে, অভিযোগ বহু পুরকর্মীরই। এবিপি আনন্দের ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাসের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনের ছবি।
একদিকে যখন আনলক ওয়ানে একের পর এক লকডাউন বিধি শিথিল হয়েছে, তখন দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণেরও নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্যেও বেড়েছে করোনা-হানা।
এই প্রসঙ্গে আজ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাতায়াত বেড়েছে, তাই সংক্রমণ বাড়ছে।’ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অন্য রাজ্য থেকে মানুষ বাংলায় ফিরলেও, বাংলায় থাকা অন্য রাজ্যের শ্রমিকরা কিন্তু যেতে চাইছেন না। এটাই বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে সকলকে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে। মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। যেমন, ধর্মীয় স্থান, বিয়ে বাড়িতে ২৫জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।’
গণপরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্য সরকার ৫ হাজার বাস নামিয়েছে।’
অনেকেই এই সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে ভরসা রাখছেন দু-চাকার যানের উপর। অনেকেই সাইকেলে সওয়ার হচ্ছেন। কিন্তু শহরের সব রাস্তায় সাইকেল চালানোর অনুমতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ‘কলকাতার কোন রাস্তায় সাইকেল চালানো যাবে, তা জানাবে পুলিশ।’
এতদিন করোনায় মৃতদের দেহ পরিবার দেখার সুযোগ পেত না। সেই নিয়ম পরিবর্তন করছে সরকার, জানান মুখ্যমন্ত্রী। এখন থেকে করোনায় মৃতদের আধ ঘণ্টা দেখার সুযোগ পাবেন আত্মীয়রা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।