লখনউ: পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত উন্নাওয়ের নির্যাতিতা এখনও ভেন্টিলেশনে আছেন। তাঁর অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখনও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলেও জানানো হয়েছে।


রবিবার রায়বেরিলিতে একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারার পর মারা যান উন্নাওয়ের নির্যাতিতার দুই আত্মীয়। নির্যাতিতা নিজে এবং তাঁর আইনজীবী গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় কিংগ জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে। সেই দুর্ঘটনার পর নতুন করে অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগার। দুবছর আগে উন্নাও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে যিনি এখন কারাবাসে।

কিংগ জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারের প্রধান ডক্টর সন্দীপ তিওয়ারি বুধবার বলেছেন, 'উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার শরীরে একাধিক হাড় ভেঙেছে। আজ ওঁর অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে। তবে সেটাকে সন্তোষজনক বলা চলে না। ওঁর জ্ঞান এখনও ফেরেনি।'

সন্দীপ জানিয়েছেন, সিটি স্ক্যান করে নির্যাতিতার মাথায় কোনও চোট পাওয়া যায়নি। তবে সন্দীপ বলেছেন, 'সিটি স্ক্যানে মাথার সব আঘাত ধরা যায় না। তাই মস্তিষ্কে আঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওঁর অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকদের দল ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছে।'

উন্নাও নির্যাতিতার আইনজীবীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন সন্দীপ। বলেছেন, 'বুধবার কিছুক্ষণের জন্য ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হয়েছিল আইনজীবীকে। সেই সময়ে ওঁর অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। পরে অবশ্য তাঁকে ফের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।' অন্য কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হতে পারে? সন্দীপ জানিয়েছেন, এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব নেই। প্রয়োজন হলে লখনউয়ের অন্য দুই হাসপাতাল - এসজিপিজিআই ও রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল থেকেও বিশেষজ্ঞদের আনা হতে পারে।

দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই দুর্ঘটনা আসলে খুনের চেষ্টা। এর নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।