বিধানসভায় নজিরবিহীন কাণ্ড, শুভেন্দুর দিকে তেড়ে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক
ABP Ananda, Web Desk | 06 Sep 2019 01:12 PM (IST)
ঘটনার সূত্রপাত প্রশ্নোত্তর পর্বে শুভেন্দুর একটি মন্তব্য ঘিরে।
কলকাতা: রাজ্য বিধানসভায় পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেড়ে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। হাতাহাতি রুখতে ওয়েলে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। ঘটনার সূত্রপাত প্রশ্নোত্তর পর্বে শুভেন্দুর একটি মন্তব্য ঘিরে। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক পরিবহণ মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, বাসে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, কারণ তাঁর কাছে অভিযোগ, নিয়োগের সময় প্রচুর টাকা লেনদেন হচ্ছে। জবাবে শুভেন্দু দাবি করেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, প্রতিমাকে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে না হলে বিধানসভায় ক্ষমা চাইতে হবে। এরপর বিরোধী বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষমা চাওয়ার কথা মন্ত্রী বলতে পারেন না, তা স্পিকারের এক্তিয়ারভুক্ত। তখনই শুভেন্দু বলেন, যা অবস্থা হয়েছে, তাতে মুর্শিদাবাদের বাকি যে কজন কংগ্রেস বিধায়ক আছেন তাঁরাও এসে তৃণমূলে নাম লেখাবেন। এমন সময় উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার শুরু করেন মুর্শিদাবাদ থেকে জিতে আসা কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। যোগ দেন মুর্শিদাবাদ থেকে জিতে আসা অন্য কংগ্রেস বিধায়করা। আসন ছেড়ে শুভেন্দুর দিকে তেড়ে আসেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঠেকাতে পারেননি। কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় শাসক দলের বিধায়ক অমল আচার্য, শিউলি সাহাদের। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার ছেড়ে উঠে আসেন, দলীয় বিধায়কদের ধমকে আসনে পাঠান। অনুরোধ করেন বিরোধী বিধায়কদেরও আসনে ফিরে যেতে। এরপর অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রুলিং দেন, বিরোধীদের বলেন, সরকারকে এমন কোনও প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। মন্ত্রীদেরও উচিত, উত্তর দেওয়ার সময় সাবধান হওয়া। মুর্শিদাবাদের বিধায়করা তৃণমূলে চলে আসবেন বলে শুভেন্দু যে মন্তব্য করেছেন, তা বিধানসভার কার্যাবলী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।