নয়াদিল্লি: লখনউয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তি, হিংসা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে জড়িত থাকায় অভিযুক্তদের নাম-ছবি-ঠিকানা দিয়ে হোর্ডিং লাগানো সংক্রান্ত এলাহাবাদ হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে আজ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। ৯ মার্চের নির্দেশে ওই হোর্ডিং, পোস্টার সরাতে বলেছিল হাইকোর্ট। তাকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানায় যোগী আদিত্যনাথ সরকার। আজ তাদের স্পেশাল লিভ পিটিশনের শুনানির সময় সর্বোচ্চ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, লখনউয়ে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে গুন্ডাবাজির দায়ে অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশ করে রাস্তার ধারে হোর্ডিং দেওয়ার সমর্থনে কোনও আইন এখনও দেশে নেই।
শীর্ষ আদালত বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে রেফার করেছে। তিন বিচারপতির বেঞ্চে বিস্তারিত শুনানির জন্য মামলাটি পেশ করতে বলেছে বেঞ্চ।
ওই অভিযুক্তদের জনসমক্ষে হেয় করার উদ্দেশ্যেই ওই পোস্টার লাগায় রাজ্য় প্রশাসন। কিন্তু বিচারপতিদ্বয় ইউইউ ললিত ও অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে দাঁড়ানো সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলে, এটা ‘গভীর গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যাপার। রাজ্য সরকারের এধরনের পোস্টার লাগানোর এক্তিয়ার আছে কিনা, বেঞ্চ তাও তাঁর কাছে জানতে চায়।
যদিও একইসঙ্গে বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেছেন, এ নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই যে, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
মেহতা সওয়াল করেন, পোস্টার মারা হয়েছিল এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে, আর হোর্ডিংয়ে শুধু বলা হয়েছে যে, হিংসার সময় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি, ভাঙচুরে দোষীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
যদিও অভিযুক্তদের একজনের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, আইনে এমন হোর্ডিং টাঙানোর কোনও ক্ষমতা, এক্তিয়ার উত্তরপ্রদেশ সরকারের নেই। এটা রাজ্য সরকারের প্রতিশোধস্পৃহা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।