নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপির। গতকাল বিজয় মাল্যের বিস্ফোরক দাবির পর কংগ্রেস নিশানা করে বিজেপি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে। মাল্য লন্ডনে বলেন, তিনি ২০১৬-য় দেশ ছাড়ার আগে সে সময়কার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া লোনের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই দাবিকে অস্ত্র করে কংগ্রেস জেটলির ইস্তফা, তদন্ত চায়। জেটলি গতকালই ফেসবুক পোস্টে মাল্যের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র পাল্টা তোপ দাগেন, আগের ইউপিএ সরকারই মাল্যের রুগণ বিমান কোম্পানি কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে টিকিয়ে রাখতে একটি ‘সুন্দর ডিল’ উপহার দিয়েছিল। এমনকী গাঁধী পরিবারই কিং ফিশারের মালিক কিনা, সেই প্রশ্নও তোলেন সম্বিত।


সাংবাদিক সম্মেলনে মাল্যর সংস্থাকে দেওয়া ব্যাঙ্কলোন সংক্রান্ত একগুচ্ছ নথি দেখিয়ে তিনি বলেন, রাহুল গাঁধী কিংফিশার ও তার মালিক বিজয় মাল্যের ব্যাপারে ব্যাকফুটে রয়েছেন। মাল্য, গোটা গাঁধী পরিবার নিখরচায় কিংফিশার বিমানে চড়তেন, অধিকাংশ ফ্লাইটেই তাদের টিকিট বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেওয়া হত। কার্যত মাল্য ও কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে সাহায্য করেছে গাঁধী পরিবার।

সম্বিতের অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মধ্যে আদানপ্রদান হওয়া একাধিক চিঠিপত্র থেকে পরিষ্কার, আগের সনিয়া গাঁধী জমানায় সরকার মাল্যের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে যাবতীয় নিয়মনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে দারুণ ডিল দিয়েছে। বলেন, কখনও কখনও তো মনে হয়, কিংফিশারের মালিক মাল্য নয়, পরোক্ষে গাঁধী পরিবারই ছিল।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিনে থাকা রাহুল গাঁধীর অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রশ্নে অভিযোগ তোলার অধিকার নেই বলে অভিমত জানান তিনি।
পাশাপাশি এক হাওয়ালা ডিলারের বিবৃতি পেশ করে তিনি বলেন, ওই ডিলার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, রাহুলের একটি শেল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।