পটনা: ১১ মাসের মধ্যে ১২ বার করোনার টিকা নেওয়ার অভিযোগে বিহারের ৮৪ বছরের বৃদ্ধ ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করল মাধেপুরা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। এই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।


মাধেপুরার পুরাইনি থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেটি দিয়েছেন পুরাইনি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ইন চার্জ। হাতে লেখা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন পরিচয়পত্র দেখিয়ে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মিথ্যে বলে ব্রহ্মদেব মণ্ডল ১২ বার করোনার টিকা নিয়েছেন। এটা করোনার টিকা সংক্রান্ত নিয়মের লঙ্ঘন। তিনি ২০২১-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের ৪ জানুয়ারির মধ্যে ১২ বার করোনার টিকা নিয়েছেন। তাই আমাদের অনুরোধ, আপনারা দয়া করে এই ঘটনার তদন্ত করুন এবং এফআইআর দায়ের করুন।’


পুরাইনি থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘আমরা এফআইআর দায়ের করেছি। ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে করোনার টিকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি। ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’


৮৪ বছর বয়সি ব্রহ্মদেব মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি ৯ বার আধার কার্ড দেখিয়ে এবং তিনবার ভোটার আইডি দেখিয়ে করোনার টিকা নিয়েছেন।


এই বৃদ্ধ আরও দাবি করেছেন, ‘শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন আধিকারিকরা আমার বাড়িতে আসেন। তাঁরা বলেন, আমি টিকা নিয়ে যে দাবি করেছি, তার ভিত্তিতে আমাকে যাঁরা টিকা দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি যাবে। তাই আমি লিখে দিয়েছি, আমাকে স্বাস্থ্য বিভাগের যে আধিকারিকরা করোনার টিকা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়। আমাকে আরও লিখতে বলা হয়, আমি স্বেচ্ছায় ১২ বার করোনার টিকা নিয়েছি। আমি চাই না স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী বা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়, আমার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু তারপর আমার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এটা অন্যায়।’