ভদোদরা: ইয়েস ব্যাঙ্কের বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করে নগদের সঙ্কটে পড়া ব্যাঙ্ক থেকে আমানতকারীরা মাথাপিছু সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। জানা গেল, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এহেন ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগের দিনই ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ২৬৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে ভদোদরা স্মার্ট সিটি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি নামে গুজরাতের একটি সংস্থা। এরা ভদোদরা পুরসভার একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি)। জনৈক সরকারি কর্তা একথা জানিয়েছেন।
ভদোদরা স্মার্ট সিটি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির টিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা ভদোদরা পুরসভার ডেপুটি মিউনিসিপাল কমিশনার সুধীর প্যাটেল বলেছেন, স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় কেন্দ্রের কাছ থেকে ওই অর্থ গ্রান্ট বা অনুদান হিসাবে এসেছিল এবং তা ইয়েস ব্যাঙ্কের এক স্থানীয় শাখায় জমা দেওয়া হয়েছিল।
ইয়েস ব্য়াঙ্কের আর্থিক সমস্যা, সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই দুদিন আগে ওই অর্থ তুলে নিয়ে ব্যাঙ্ক অব বরোদায় খোলা নতুন অ্য়াকাউন্টে জমা দেওয়া হয় বলেও জানান সুধীর।
এদিক ইয়েস ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে সরকারের ঘোষিত বেইল আউট প্ল্যানের সমালোচনা করে পি চিদম্বরম বলেছেন, মনে হচ্ছে, পরিকল্পনাটা হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) ওই ব্যাঙ্কের পুনর্গঠিত মূলধনে ৪৯ শতাংশ শেয়ার পাওয়ার জন্য ২৪৫০ কোটি টাকা ঢালবে। দর পড়বে শেয়ার পিছু ১০ টাকার কম নয়, ফেস ভ্যালু ২ টাকা। ওই ব্যাঙ্কের সামগ্রিক মূল্য যখন জিরো অর্থাত্ শূন্য, তখন এই প্রস্তাব উদ্ভট, অবাস্তব। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের দিক থেকে নজরদারির ব্যাপক ঘাটতি ছিল, যার ফলে ২০১৪ থেকে ওই ব্যাঙ্কের দেওয়া লোনের বহর ফি বছর ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।


ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলি জানিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিরোধীদের অভিযোগ খন্ডন করেন, কংগ্রেস আমলেই সঙ্কটের শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন। চিদম্বরমকে ‘স্বঘোষিত যোগ্য ডাক্তার’ বলে কটাক্ষ করেও তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আজ পাল্টা চিদম্বরম বলেন, যখন অর্থমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনি, মনে হয়, কংগ্রেস-ইউপিএ আজও ক্ষমতায় রয়েছে, আমি এখনও অর্থমন্ত্রী আর উনি বিরোধী শিবিরে আছেন। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না, এসবিআই স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে, ঠিক যেভাবে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের জন্য এলআইসি আসেনি। এগুলি সবই নির্দেশ দিয়ে করানো হচ্ছে।