কলকাতা: মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। মিম প্রধানের এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এবার পশ্চিমবঙ্গের বাইরের আরও একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এখানে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের খবর, মূলত মহারাষ্ট্রের দল শিবসেনা এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ১০০টি আসনে প্রার্থী দেবে। ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেটা নিয়েই এখন আলোচনা শুরু হয়েছে।

শিবসেনা সূত্রে খবর, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, দমদম, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রামের মতো কেন্দ্রগুলিতে লড়াই করতে পারে উদ্ধব ঠাকরের দল।

শিবসেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলীয় প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন। ২৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে আসবেন শিবসেনা সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক অনিল দেশাই। তিনি ভোটের চূড়ান্ত রণকৌশল নির্ধারণের বিষয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে লড়াই করেছিল শিবসেনা। তবে সেই সময় এনডিএ-র শরিক ছিল উদ্ধবের দল। মহারাষ্ট্রে ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সে বিষয়ে মতানৈক্যের জেরে বিজেপি-শিবসেনা জোট ভেঙে যায়। এবার বাংলায় ক্ষমতা দখল করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। এবার শিবসেনা যদি পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে, তাহলে কাদের সুবিধা হতে পারে, সেটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, সম মানসিকতার দলগুলির সঙ্গে জোটও করতে পারে শিবসেনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এবারের ভোটে মেরুকরণের প্রভাব দেখা যেতে পারে। বিজেপি কট্টর হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে। শিবসেনাও কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে পরিচিত। ফলে উদ্ধবের দল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র ভোট কেটে তৃণমূলের সুবিধা করে দিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

তৃণমূল ও বিজেপি এককভাবে বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে। বাম দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে। আসন সমঝোতা ও যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনার প্রবেশ লড়াইকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। তবে শিবসেনা বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে কি না, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।