জয়পুর: পরবর্তী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী কে, কারা হবেন, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে রাজস্থানের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য বিজেপি কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক অমিত শাহের। ইতিমধ্যে রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার জয়পুরে বিজেপি সভাপতি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের ভোটের ফলাফলই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করে দেবে। ২০১৯ এর নির্বাচনের ট্রেলার হতে চলেছে এগুলি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় দেশে পরের ৫০ বছরে একটানা দলের শাসন সুনিশ্চিত করবে। দলের বিপুল জয়ের জন্য আপনাদের ঘাম ঝরাতে হবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীরা যে মহাগঠবন্ধন গঠনের তোড়জোড় চালাচ্ছে, তা উত্তরপ্রদেশে সামান্য প্রভাব ফেললেও আর কোথাও দাগই কাটতে পারবে না।
বিজেপি কর্মীদের প্রচারে রাহুল গাঁধী প্রধানমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশমন্ত্রী ও মুলায়ম সিংহ যাদব প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলে তাঁদের কী অভিমত, তা মানুষের কাছে জানার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, মানুষের কাছে মোদী সরকার, রাজে সরকার কী কী করেছে, তা বলুন।
কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি সভাপতি বলেন, ওরা আগে স্পষ্ট করুন, কে ওদের নেতা, কী ওদের নীতি, কর্মসূচি। কটাক্ষ করেন, রাহুল বাবা স্বপ্ন দেখতেই পারেন, কিন্তু ভোটগণনার দিনই ওঁর ঘুম ভাঙবে!
কংগ্রেস দেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বলে দাবি করে গোহত্যার অভিযোগে দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা, অসহিষ্ণুতার অভিযোগে ২০১৫-য় বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সরকারি পদক ফেরানোর প্রসঙ্গ টেনে আনেন অমিত শাহ। বলেন, ভোট এলেই আখলাক বা পুরস্কার ফেরানোর মতো ইস্যু ওঠে। যখন আখলাকের ঘটনা ঘটেছিল, পুরস্কার ফেরানো হয়েছিল, তখন বিজেপি জিতেছিল। এবারও কংগ্রেস নতুন কোনও ইস্যু তুললেও দল জিতবে।
ভাষণে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতেও কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ওরা মানবাধিকারের কথা বলছে। ভারতের গরিবদের মানবাধিকার নেই? দেশের নিরাপত্তার হাল নিয়ে কোনও উদ্বেগ থাকবে না? শয়ে শয়ে সন্ত্রাসবাদী এদেশে ঢুকছে, বিস্ফোরণের ছক কষছে। আপনাদের আমলে এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে।
কংগ্রেস শুধু তার ভোটব্যাঙ্কের কথাই ভাবে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, আপনারা বিজেপির যত খুশি চান, বিজেপির বিরোধিতা করুন, কিন্তু আমরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে থাকতে দেব না, ওদের চিহ্নিত করে বের করে দেব।