WB Corona LIVE Updates: একদিনে সুস্থতার সংখ্যায় রেকর্ড, রাজ্যে মৃত্যু ১১২ জনের
তবে এরইমধ্যে করোনায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ফের একবার বাংলায় একদিনে করোনায় মৃত্যু হল একশো জনেরও বেশি।যা কোনওদিন হয়নি, বৃহস্পতিবার তাই হল। একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ১১৭ জন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়কে চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির পাল্টা চিঠি হর্ষ বর্ধনের। প্রতিশ্রুতি মতো কেন্দ্র ৪৫ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। রাজ্যকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। আরও ২ লক্ষ টিকা পাঠানোর জন্য প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেছেন, দেওয়া হয়েছে ১৮.৩৮ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক,প্রায় ৫ লক্ষ পিপিই কিট। ১ হাজার ২৪৫টি ভেন্টিলেটর ও সাড়ে ৪৩ লক্ষ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। কিন্তু তুলনায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষার হার কম,খোঁচা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। ৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ২টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে।
সিউড়ি হাসপাতালে ‘চিকিৎসায় গাফিলতি’তে করোনা রোগীর মৃত্যু। দু’ঘণ্টা পর দিলেও সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগ। ‘ফের করোনা পরীক্ষার জন্য খুলে নেওয়া হয় অক্সিজেন’। ‘অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়া সত্ত্বেও আসেননি ডাক্তার-নার্স’। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। হাসপাতাল সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব সিএমওএইচের।
রাজ্যে বেলাগাম করোনা, দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৯২১৬ জন, মৃত ১১২ জন। একদিনে সুস্থ ১৭৭৮০ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৩৯১৫ জন, মৃত ২৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৩৯৫৭ জন, মৃত ৩৩ জন।
স্পুটনিক লাইট সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিল ভারত। এই প্রথম স্পুটনিক লাইট সিঙ্গল ডোজে ছাড়পত্র ভারতের। গতকালই স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিনের ঘোষণা করে রাশিয়া। কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি-কে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত।
দেশজুড়ে একইরকম টিকাকরণ করতে হবে। টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। টিকাকরণ নিয়ে একটিই নীতি নিক কেন্দ্র। রাজ্যগুলির মধ্যে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ নয়। কোভিড ভ্যাকসিনের দাম এবং ব্যবহারে অভিন্ন নীতি নেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাজ্যের।
কোভিড সংক্রমণের জেরে বন্ধ হচ্ছে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। সিদ্ধান্ত শিবপুর আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের। আগামী সোমবার ১০ই মে থেকে উদ্যান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত।
টিকা নিয়েও করোনা আক্রান্ত একাধিক চিকিৎসক। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সেন্টিনারি হাসপাতালের ১৪জন চিকিৎসক আক্রান্ত। আক্রান্ত হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকও। চ্যালেঞ্জের মুখে হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে নিয়োগ।
বিদেশ থেকে টিকা আমদানির অনুমতি। রাজ্য সরকারগুলিকে বিদেশ থেকে টিকা আমদানির অনুমতি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও অনুমতি দিল কেন্দ্র। দেশে যে টিকা এখনও ছাড়পত্র পায়নি তা আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদন লাগবে। গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্র।
রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আরও নতুন ৩টি সেফহোম হচ্ছে কলকাতায়। সেফ হোম হচ্ছে ললিত গ্রেট ইস্টার্ন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে।নেতাজি ইন্ডোরেও হচ্ছে সেফ হোম।নতুন তিনটি সেফহোমে থাকছে প্রায় ৬০০ বেড।তিনটি সেফহোমের দায়িত্বে আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
রাজ্যে এবার সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।শুরু হচ্ছে জনসনের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
সারা দেশে ৬টি জায়গায় হবে ট্রায়াল।কলকাতায় ট্রায়ালের পিয়ারলেস হাসপাতালে।১০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে হবে ট্রায়াল
কলকাতার মাড়োয়ারি হাসপাতালে চরম অক্সিজেন সঙ্কট।সরবরাহকারীরা কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। অক্সিজেন নির্ভর রোগীদের জন্য উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে সরবরাহ পাওয়ার আশ্বাস মিলেছে।
রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে প্রয়োজনমতো অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। আগামী ৭-৮ দিনে অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ৫৫০ মেট্রিক টনে পৌঁছোতে পারে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চাহিদামতো অক্সিজেন সরবরাহ করা হোক।
মালদার মানিকচকের কামালপুর এলাকায় বৃদ্ধা মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে বাড়িতে ফেলে গেলেন ছেলে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাড়িতে পড়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামী। গত সোমবার বৃদ্ধার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই এই ঘটনা। প্রতিবেশীরাও যোগাযোগ রাখেননি। গতকাল রাতে বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আজ স্বাস্থ্য দফতর খবর পেয়ে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাঠায়।
হুগলির চুঁচুড়ায় এক করোনা রোগী বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু। ওই মহিলা একাই থাকতেন বাড়িতে। তাঁর ছেলে-বউমা থাকতেন শহরের অন্য প্রান্তে। কয়েকদিন আগে ওই বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর ছেলে-বউমাও করোনা আক্রান্ত। গতকাল সকাল থেকে তাঁর আত্মীয়রা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাঁরা তখন খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, মহিলা বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এরপর তাঁকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
লোকাল ট্রেন বন্ধ। বারুইপুর বাসস্ট্যান্ডে ভোর থেকেই যাত্রীদের লম্বা লাইন। বারুইপুর থেকে বারাসাতগামী বাসের সংখ্যা কম। ফলে বাস এলে তাতে হুড়মুড়িয়ে উঠছেন যাত্রীরা। দূরত্ববিধি শিকেয়।
হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ। যদিও হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারের দাবি, অক্সিজেন আছে। আরও অক্সিজেন আসছে।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: কেরলের পর এবার মধ্যপ্রদেশ...।ভয়ঙ্কর করোনা রুখতে এবার আরও এক রাজ্য লকডাউন জারি করল। ১৫ মে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন।এদিনই ৮ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত কেরালাতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে।বাংলাতেও ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় লোকাল ট্রেন বন্ধ, পরিবহণ ক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশে বেধে দেওয়া...সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে!
তবে এরইমধ্যে করোনায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ফের একবার বাংলায় একদিনে করোনায় মৃত্যু হল একশো জনেরও বেশি।যা কোনওদিন হয়নি, বৃহস্পতিবার তাই হল। একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ১১৭ জন।
শুধু এই নয় সংক্রমণও বল্গাহীন হয়ে উঠেছে! রাজ্যে সর্বানাশা রেকর্ড গড়ে বৃহস্পতিবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৩১ জন।এর ফলে উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৪।
এখনও অবধি রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৯৬৪ জন। দিনে দিনে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। কলকাতায় প্রাণ চলে গেছে ৩৩ জনের।
এরইমধ্যে করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে তুলোধনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রী হোক কিংবা সাধারণ মানুষ...ভিনরাজ্য থেকে যাঁরাই আসবে, নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -