কলকাতা: রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল করোনার বিধিনিষেধ। ৫০% উপস্থিতি নিয়ে হলের মধ্যে সরকারি কর্মসূচি পালন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। স্কুল, কলেজ বন্ধই থাকছে। বাজার-হাট খোলার ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বজায় থাকবে। তবে রাতের বিধিনিষেধে কড়াকড়ির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাবান্নর তরফে।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ এখনও কাটেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৮১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টাতে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮১১ জন। মঙ্গলবার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মঙ্গলবার যা ছিল ৬৬২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনামুক্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৯৪ জন। রাজ্যে করোনা কবলে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১০৯ জনের। 


এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই তৎপর প্রশাসন। রাতের বিধিনিষেধে কড়া নবান্ন। কলকাতা ও জেলায় চলছে পুলিশি নজরদারি। বিধিভঙ্গের অভিযোগে কলকাতায় ৯৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু। পশ্চিম মেদিনীপুর, শিলিগুড়িতে আটক বেশ কয়েকজন।


পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শিশু-চিকিত্সায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মূলত শিশুদের ডায়ালিসিস ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিত্সায় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে ৩১টি ডায়ালিসিস ইউনিট রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাড়ানো হচ্ছে এই ধরনের ইউনিটের সংখ্যা।


মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২-৭ অগাস্ট পর্যন্ত এসএসকেএম, এনআরএস ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ শিবির হবে। নেফ্রোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা, পিকু, নিকু, SNCU ও ডায়ালিসিস বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ও টেকনিশিয়ানরা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন নেফ্রোলজিস্টরা, যাঁরা মূলত শিশুদের চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত। একইসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে চলবে প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে পিপিপি পদ্ধতিতে চিকিত্সা পরিষেবা আরও বিস্তৃত ও উন্নত করতে পরামর্শদাতা সংস্থা হিসেবে প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 


উল্লেখ্য গতকালই রাজ্যগুলিকে নতুন অ্যাডভাইসরি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে কোনও ঢিলেমি নয়। সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই ছাড় দেওয়া যেতে পারে।