কলকাতা: হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে ঢোকার মুখে দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। কালো পতাকাও দেখান তাঁরা। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে সাংসদের গাড়ি আটকানোয় পুলিশের সামনেই তাদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা যায় তৃণমূল কর্মীদের। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।


তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকতে গেলে শনিবার সকালে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরাও। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।

সুনীল মণ্ডল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে গোটা ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে ঢোকার মুকেই রয়েছে তৃণমূলের একটি মঞ্চ। সুনীল মণ্ডলের গাড়ি যাওয়ার সময় সেই মঞ্চ থেকে কালো পতাকা দেখানো হয়। রাস্তায় শুয়ে পড়ে সুনীল মণ্ডলের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশও উপস্থিত ছিল ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন বিজেপির কর্মী ও সুনীল মণ্ডলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও মতে সাংসদকে উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে যান।

এদিন হেস্টিংসে বিজেপি অফিসে একটি বৈঠক রয়েছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূলের ক্ষমতা দখল করে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতা। তাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। পুলিশ আগে দলদাস ছিল। এখন তাদের একাংশ ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে। আমাদের রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই পুলিশ আর গুণ্ডা দিয়ে ক্ষমতা হাতে রাখতে চাইছে তৃণমূল। লোভ আর ক্ষোভই এখন তৃণমূলের পরিচয়। আমাদের সর্বভারতীয় নেতা জে পি নাড্ডার কনভয়ে যেভাবে পাথর মারা হয়েছিল, অভাবনীয়। তবে এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রের যে শ্বাসরোধ করতে চাইছে, তা করা যায় না।’

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘ঘটনাটি প্রত্যক্ষভাবে জানি না। তবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। একটা লোক তৃণমূলের টিকিটে দুবার জিতে পার্টি ছেড়ে দিচ্ছে, এটা লোকে মেনে নিতে পারছে না। দলত্যাগ বিরোধী আইন ভঙ্গ করেছে সুনীল মণ্ডল। পার্টি ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।