বিশাখাপত্তনম: ভোপালের আতঙ্ক ফিরল ভাইজাগে। অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগের কাছে গোপালপত্তনমে বুধবার গভীর রাতে একটি কারখানা থেকে বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক করে এক শিশু সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।


প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাস। লিকের কারণে অনেক পশুপাখিরও মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে লুটিয়ে পড়তে।


কিন্তু কী এই স্টাইরিন?


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই স্টাইরিন একটি দাহ্য তরল পদার্থ। এটি পলিস্টাইরিন প্লাস্টিকস, ফাইবার গ্লাস, রাবার ও ল্যাটেক্স তৈরিতে কাজে লাগে।


এই স্টাইরিন গ্যাস এতটাই বিষাক্ত যে, কয়েকঘণ্টার মধ্যে বিশাখাপত্তনমে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত দেড় হাজার মানুষ। এক মধ্যে ৮০ জন ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা কপালজোরে প্রাণে বেঁচেছেন, তাঁরা যে নিরাপদ এমনটা একেবারেই নয়। কারণ, এই গ্যাস মানবশরীরের সংস্পর্শে আসা মানেই ক্ষতি।


আমেরিকার এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, অল্প সময় স্টাইরিন গ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, মাথা ধরার মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এই গ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে, স্নায়ুতন্ত্র অকেজো পর্যন্ত হতে পারে।


মানব শরীরে প্রবেশ করলে লিভার এবং কিডনির বড়সড় ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে এই গ্যাস। শারীরিক দুর্বলতা, কানে কম শোনার মতো ছোটখাটো সমস্যা তো আছেই, স্টাইরিন গ্যাসের সুদূরপ্রসারী প্রভাবে শরীরে ক্যান্সারও বাসা বাঁধতে পারে।


অর্থাৎ ভাইজাগের এই গ্যাসকাণ্ডে যাঁরা বেঁচে গেলেন, তাঁরাও যে পুরোপুরি সুরক্ষিত এমনটা নয়। এই গ্যাস শরীরে ঢুকে ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করে। অনেক ক্ষেত্রে রক্তের ও ফুসফুসের ক্যানসার তৈরি করে।