মুম্বই: ‘আমাদের জীবন সম্পর্কে কি কিছু বলা যায়? আজ আছি, কাল থাকব কি না জানি না।’

জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানোর আগের দিন হোয়াটসঅ্যাপে এক বন্ধুকে এ কথা লিখেছিলেন মরাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির ১০১ ডিমরাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির ১০১ ডিভিশনের তরুণ জওয়ান যশ দেশমুখ। তাঁর বন্ধুর সঙ্গে হওয়া এই কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দেশের জন্য এই তরুণের আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ করছেন নেটিজেনরা। একইসঙ্গে সবারই এই তরুণের কথা ভেবে মন খারাপ।

মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার ১২-তম বর্ষপূর্তির দিনই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দুই জওয়ানের প্রাণ যায়। তাঁদেরই একজন ২০ বছরের যশ। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার চলিগাঁও তালুকায়। সেখানকারই এক বন্ধু তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন করেন, ‘কেমন আছো?’ জবাবে যশ বলেন, ‘আমি ভাল আছি। কিন্তু আমাদের জীবনের বিষয়ে কি কেউ কিছু বলতে পারে? আমরা এখানে একদিন আছি, পরের দিন থাকব না।’

এই তরুণ জওয়ানের বাড়িতে বাবা-মা, দুই বোন ও এক ভাই আছেন। বাবা কৃষক, দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং ভাই এখনও স্কুলে পড়েন। যশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য এতটাই আগ্রহী ছিলেন, তিনি গত বছর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের বেলগামে যান। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করতে তাঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তবে দেশের সেবা করতে চাইতেন বলে যাবতীয় কষ্ট সহ্য করেন এই তরুণ। কিন্তু তাঁর পক্ষে বেশিদিন দেশের সেবা করা সম্ভব হল না। বড় তাড়াতাড়ি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হল তাঁকে। দেশ হারাল এই তরুণকে।