নয়াদিল্লি: চাঁদে নামার তিন মিনিট আগে হারিয়ে গিয়েছে ‘বিক্রম’। কিন্তু এখনই আশা ছাড়তে নারাজ ইসরো। আগামী ১৪ দিন ধরে বিক্রমের খোঁজ চালাবেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও একেবারে সঠিকভাবে কাজ করছে অরবিটার। হিসাবমতো অরবিটারের আয়ু ছিল এক বছর। কিন্তু এতটাই সঠিকভাবে ‘বাহুবলী’ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে অরবিটারকে যে আগামী সাত বছর তথ্য পাঠাতে সক্ষম সে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত ক্যামেরা বহন করছে অরবিটার। তাই উন্নতমানের ছবির সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ সম্পর্কে পাওয়া যাবে অনেক অজানা তথ্যও। আর সেই অরবিটারই এখন একমাত্র ভরসা বিক্রমকে খুঁজতেও।


ঠিক যেখানে বিক্রমের নামার কথা সেখানে সূর্যের আলো থাকবে আগামী ১৪ দিন। সেই সৌরশক্তি থেকে শক্তি নিয়েই কাজ করার কথা ছিল বিক্রমের। কিন্তু এখন ওই আলোতেই অরবিটের পাঠানো ছবির মাধ্যমে বিক্রমের সন্ধান চালাবে ইসরো। আর তারপরেই ওই অংশে নেমে আসবে অন্ধকার, ক্ষীণ হয়ে যাবে বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার আশা।

সব ঠিকঠাকই চলছিল শুক্রবার থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত। শনিবার রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় ল্যান্ডার। চাঁদের মাটি ছুঁতে তখন বাকি আর মাত্র ২.১ কিলোমিটার। বেঙ্গালুরুর ইসরোর গ্রাউন্ড কন্ট্রোল রুমে তখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ২.১০ নাগাদ ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন ঘোষণা করেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাঁকে সান্ত্বনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ইসরোর জন্য দেশ গর্বিত। কেন হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বিক্রম তা জানাতে পারেনি ইসরো। সিগন্যাল বলছে দিকভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিক্রম, কিন্তু কেন? স্পষ্ট উত্তর না দিয়েও দূরদর্শনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কে শিবন জানান, মিশনের শেষভাগ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিক্রম। এখনও আশাবাদী ইসরো। চাঁদের ওপর ঘুরে বিক্রমকে খুঁজবে অরবিটার।  আগামী ১৪ দিন ধরে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলবে হারিয়ে যাওয়া বিক্রম আর প্রজ্ঞানের সঙ্গে।