ঔরঙ্গাবাদ: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের নৃশংস পরিণতি। ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ। স্বামীকে ফাঁসাতে এক বান্ধবীকে পুড়িয়ে খুন করে নিজের পোশাক, জুতো, গয়না পরিয়ে মৃতদেহের পাশে সুইসাইড নোট রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। তদন্তকারীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেন। জানা যায়, অভিযুক্ত মহিলা বেঁচে আছেন। এরপরেই তাঁকে ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়।


চিখলথানা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর মহেশ অন্ধালে জানিয়েছেন, ‘গত ২৪ মে একটি খামার থেকে এক মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল, চেনার কোনও উপায় ছিল না। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেই সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, দেহটি সোনালী শিন্ডের। মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোনালীর ভাই অমলকে খবর দেয় পুলিশ। তিনি জুতো, হার, আংটি, বালা ও পোশাক দেখে মৃতদেহটি দিদির বলে শনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্ত করে দেহটি সোনালীর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। সোনালীর স্বামী সদাশিব শিন্ডের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন অমল।’

এরপরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। রুখমানবাই মালি নামে এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যে খবর আসে, শিরডি, আহমেদনগর, নাসিক, সুরাতে দেখা গিয়েছে সোনালীকে। তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত জলগাঁও জেলার চালিসগাঁও রেলস্টেশন থেকে সোনালী ও তাঁর প্রেমিক ছাবাদাস বৈষ্ণবকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে সোনালী স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতেই প্রেমিকের সাহায্যে নিজের বান্ধবীকে খুন করেন তিনি।