নয়াদিল্লি: কংগ্রেসত্যাগী সতীর্থের উদ্দেশ্যে সাবধানবাণী? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ১৮ বছরের সম্পর্ক ভেঙে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরদিন রাহুল গাঁধী বললেন, ওখানে তিনি সম্মান-মর্যাদা পাবেন না, মনও ভরবে না। সাম্প্রতিক ভারতীয় রাজনীতিতে গতকালের জ্যোতিরাদিত্যের কংগ্রেস ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার মতো মতো এত বড় হাইপ্রোফাইল দলবদল ঘটেনি। কংগ্রেসে তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অন্যতম সদস্য ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। জ্যোতিরাদিত্য তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়ে পাননি বলে দাবি করলেও গতকালই রাহুল বলেছিলেন, কংগ্রেসে একমাত্রই ওঁরই যে কোনও সময় আমার বাড়ি চলে আসার স্বাধীনতা ছিল। আজ রাহুল বলেন, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, তাই নিজের আদর্শ পরিত্যাগ করলেন জ্যোতিরাদিত্য। কলেজ জীবন থেকেই তাঁরা পরস্পরকে জানতেন, মনে করিয়ে দিয়ে রাহুল বলেন, জ্যোতিরাদিত্য বাইরে যা বলছেন, সেটা আর তাঁর মনের কথা এক নয়।
জ্য়োতিরাদিত্য কংগ্রেস ছেড়ে গতকাল বিজেপিতে যোগদান করে অভিযোগ করেন, কংগ্রেস বাস্তবের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে, আগের সেই কংগ্রেস আর নেই। পাল্টা রাহুল বলেন, এটা একেবারে পরিষ্কার আদর্শের লড়াই। একদিকে কংগ্রেস, অন্য়দিকে বিজেপি-আরএসএস। জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার আদর্শ আমি জানি। কলেজে আমার সহপাঠী ছিলেন, খুব ভাল করে তাঁকে চিনি। নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে তিনি সংশয়ে পড়েছিলেন, আদর্শকে পকেটে ঢুকিয়ে আরএসএস শিবিরে চলে গেলেন। বাস্তবটা হল, সেখানে তিনি মান-সম্মান পাবেন না, মনের আবেগ অনুভব করবেন না, পরিতৃপ্তি পাবেন না। জ্য়োতিরাদিত্যের সঙ্গে আমার পুরানো বন্ধুত্ব।
কেন তিনি নিজের কোর টিমের সদস্য়দের রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন না, প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেন, আমি কংগ্রেস সভাপতি নই। রাজ্যসভায় প্রার্থী বাছাইয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। দেশের যুবসমাজকে অর্থনীতির ব্য়াপারে সচেতন করছি। কে আমার টিমে আছে, কে নেই, সেটা অপ্রাসঙ্গিক। ভারতের কোটি কোটি মানুষ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছেন, অতীতে কখনও তা হয়নি।