গত ১২ মে তেজপ্রতাপের সঙ্গে দলীয় বিধায়ক চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা প্রসাদ রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্যা রাইয়ের বিয়ে দেন লালু-রাবড়ি দেবী। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যেই দাম্পত্যে চিড়।
শুক্রবার হরিদ্বার থেকে বিহারের একটি সংবাদ চ্যানেলকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তেজপ্রতাপ বলেন, আমাদের ব্যবধান ঘোচার নয়। বিয়ে পাকা হওয়ার আগেই এটা আমি বাবা-মাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও যেমন কেউ আমার কথা শোনেনি, এখনও শুনছে না। আমার সিদ্ধান্তে যতক্ষণ না ওরা সহমত হচ্ছে, কী করে বাড়ি ফিরি?
তাঁর বৈবাহিক অশান্তিতে শ্বশুরবাড়ির কিছু লোক সহ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ভূমিকায়ও ক্ষোভ জানিয়েছেন তেজপ্রতাপ।
ছোট ভাই তেজস্বী যাদবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেজপ্রতাপ, তবে বলেছেন, দিল্লিতে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না। দিনদিন ছোট ভাইয়ের দলে প্রভাব-প্রতিপত্তি নাকি বাড়ছে, যাতে তিনি খুশি নন, এমন জল্পনাও খারিজ করে দেন তেজপ্রতাপ। বলেন, তেজস্বীকে আমার আশীর্বাদ রইল। হয়তো বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে ও। আমি ওর পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব, যেভাবে মহাভারতের যুদ্ধে কৃষ্ণ অর্জুনের সহায় হয়েছিলেন।
এদিকে এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে রাজ মিশ্র নামে এক পূজারী জানিয়েছেন, সেখানকার মা বিন্ধ্যবাসিনী দেবী মন্দিরে ১১ দিনের পুজো, হোম-যজ্ঞ হয়েছে যাতে তেজপ্রতাপের বিয়ে ভেঙে না যায়, তাঁর গোটা পরিবারে শান্তি থাকে। লালুর পরিবারের মন্দিরের দেবীর ওপর অগাধ বিশ্বাস, মাঝেমধ্যেই তারা সেখানে পুজোও দেয়। মিশ্র বলেন, লালুর পরিবারের মঙ্গল কামনায় গ্রহ নক্ষত্রকে তুষ্ট রাখতে ১১ দিনের পুজো করেছেন তিনি। এ নিয়ে তেজপ্রতাপের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়েছে বলেও দাবি মিশ্রের।