নয়াদিল্লি: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ে দলের অন্দরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে যেমন, তেমনই বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরেও শরিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কংগ্রেসকে। জোটে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের যোগ্যতা নিয়ে আরও জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন। সেই আবহেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সম্ভাবনা খারিজ করল আম আদমি পার্টি। উত্তরপ্রদেশ উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে এখন পাশে চাইছে না সমাজবাদী পার্টিও। (INDIA Bloc)


বুধবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গোড়া থেকে প্রত্যাশা জাগিয়েও, সেখানে ৩৭টি আসনে থেমে যেতে হয়েছে কংগ্রেসকে। বিজেপি ৪৮ আসনে জয়ী হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও সামনে এসে গিয়েছে। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরেও ন্যাশনাল কনফারেন্সের কাঁধে ভর করে কোনও রকমে বৈতরণী পার করেছে কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক স্তরে হাত মেলানোয় সন্দিহান শরিক দলগুলি। (Congress News)


এ নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই আম আদমি পার্টির মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্কর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করলেন। তিনি বলেন, "দিল্লিতে আর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়বে আম আদমি পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে ওদের বেশি আসন দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও হরিয়ানায় আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টিকে জায়গা ছাড়েনি কংগ্রেস।"


আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডাও সরাসরি কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, "I.N.D.I.A শিবির একজোট হয়ে লড়াই করলে, ফলাফল উল্টো হতো। জম্মু ও কাশ্মীরে একজোট হয়ে লড়েছে। সেখানে বিজেপি হেরেছে। আমাদের তরফ থেকে সবরকমের চেষ্টা সত্ত্বেও হরিয়ানায় জোট হয়নি।  আমরা একক ভাবে লড়াই করেছি, ফলে জনাদেশ আমাদের পক্ষে যায়নি। কংগ্রেসের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ।"


শুধু আম আদমি পার্টিই নয়, কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে সমাজবাদী পার্টিও। বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তারা। ১০টি আসনের মধ্যে ছ'টিতেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। এই তালিকাটি রাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উপনির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে পাঁচটি আসন দাবি করেছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 


এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, I.N.D.I.A জোটের শরিক, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও লোকসভা নির্বাচনে 'একলা চলো' নীতি নিয়েছিলেন। আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধ বাধে তাঁর। শেষ পর্যন্ত সব আসনেই নিজের দলের প্রার্থী দাঁড় করান তিনি। এবার কেজরিওয়াল এবং অখিলেশও সেই পথ ধরবেন বলে জল্পনা।