নয়াদিল্লি: রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী। যারা হলেন ডেভিড বেকার,  জন জাম্পার, ডেমিস হাসাবিস (David Baker John Jumper and Demis Hassabis )। মূলত তাঁরা প্রোটিনের উপরে কাজ করেছেন। প্রোটিনের আকার এবং গঠনের জন্য এই তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন।  


 গবেষণায় প্রকাশ্যে বহু অজানা তথ্য 


বুধবার রয়াল স্যুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্টিস্ট ঘোষণা করে যে, 'কম্পিউটেশানাল প্রোটিন ডিজাইনের' জন্য নোবেল প্রাইজের অর্ধেক পাচ্ছেন ডেভিড বেকার। এবং বাকি অর্ধেক 'প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশনের' জন্য জাম্পার ও ডেমিস হাসাবিসের জন্য বরাদ্দ থাকছে।  ডেমিস হাসাবিভিস এই মুহূর্তে ইউকে-তে গুগল ডিপ মাইন্ডের সিইও। এবং জন জাম্পার হচ্ছেন গুগল ডিপ মাইন্ডের প্রবীণ বিজ্ঞানী। এই গবেষণায় প্রোটিনের গঠনমূলক বহু অজানা তথ্য উঠে এসেছে।


যুগান্তকারী এই গবেষণায় বাঁচবে এবার বহু প্রাণ


উল্লেখ্য, প্রোটিন হল মূলত বৃহৎ জৈব অণু। যা মূলত অ্যামাইনো অ্যাসিডের চেইন দিয়ে গঠিত। মানব শরীরে যার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সহজে বলতে গেলে প্রোটিন ছাড়া জীবন অস্তিত্ব নেই। তবে এবার 'কম্পিউটেশানাল প্রোটিন ডিজাইন' এবং 'প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন'-এর জন্য বড়সড় উপকার পাবে সাধারণ মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণায় বাঁচবে এবার বহু প্রাণ। 


  ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার তৈরি করেন একটি AI মডেল


 ২০২০ সালে ডেমিস হাসাবিস এবং জন জাম্পার একটি এআই মডেল (AI Model) তৈরি করেন। নাম Alpha Fold2. যা কিনা মূলত প্রোটিনের জটিল গঠনের দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরনো সমস্যার সমাধান এনে দেবে। ইতিমধ্য়েই সারা বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশ Alpha Fold2 ব্যবহার করেছে। একদিকে, স্কেকটাক্যুলার প্রোটিনের সম্ভাবনাময় গঠন সামনে এনে পেয়েছে স্বীকৃতি।  অপরদিকে, ৫০ বছরের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। মূলত ১৯৭০ সাল থেকেই বিজ্ঞানীরা, অ্যামাইনো অ্যাসিডের চেন সমন্বিত এমন এক প্রোটিন স্ট্রাকচারের খোঁজে ছিলেন। এই গঠনের মাধ্যমে অ্যামিইনো অ্যাসিডের পরিবর্তন করা হলে প্রোটিনের আকৃতি ও কাজে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে। সবমিলিয়ে এই আবিষ্কার একটা দীর্ঘ তথ্যের ভাণ্ডার সামনে নিয়ে আসছে। 


আরও পড়ুন, ১২৩৬ কোটি খরচে 'শুক্রযান ১' অভিযান, 'যমজ বোনে'র কেন এমন পরিণতি? উত্তরের খোঁজে উড়ান এই দিনে... 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।