নয়াদিল্লি: চিনা আগ্রসানের প্রশ্নে লোকসভা কার্যত হুলস্থুল বাধল। সীমান্তে চিনে আগ্রাসী আচরণের সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাতে তীব্র আপত্তি তোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ (India China Conflict)।  


বুধবার লোকসভায় ধন্যবাদ ভাষণ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির


বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতি অভিভাষণের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ ভাষণ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। তার আগে বক্তৃতা করেন অধীর। সেখানেই সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “অরুণাচলপ্রদেশের লুঙ্গটা জোরে চিনা সেনা ১৭ বছরের এক ভারতীয়কে অপহরণ করে। বিজেপি সাংসদ তপির গাও তা নিয়ে ট্যুইটও করেন। জানান, চিনা সেনা ভারতের ৩-৪ কিলোমিটার অন্দরে রাস্তা তৈরি করেছে।”(LAC)


এতেই তড়িঘড়ি অধীরকে আটকাতে ওঠেন রিজিজু। তিনি যুক্তি দেন যে, এই ধরনের কথা সংসদের অন্দরে বলা উচিত নয়।  কারণ সংসদের রেকর্ডে সব নথিবদ্ধ হয়ে যায়। ভারতের ভূখণ্ডের একচুলও হাতছাড়া হয়নি, সেনার তরফেই সাফাই দেওয়া হয়েছে বলেও এ দিন দাবি করেন রিজিজু। বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আরও পড়ুন: Narendra Modi: আদানি প্রশ্নে মৌন মোদি, কেন টানলেন 'বিনামূল্যে রেশন পাওয়া মানুষে'র প্রসঙ্গ


রিজিজুর এই যুক্তিতে ফুঁসে ওঠেন অধীর। জানান, বিজেপি রাহুল গান্ধীকে পাকিস্তানের এজেন্ট বললে তার বেলায় কিছু হয় না। প্রয়োজনীয় প্রশ্নের জবাব চাইলেই স্পর্শকাতর বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) চড়াও হন। জানান, অধীর চাইলে যা ইচ্ছে বলতে পারেন। কিন্তু তাঁকে উল্লেখ করতে হবে যে, উনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে কথা বলছেন।


বিষয়টিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করল কেন্দ্র


এর পাল্টা অধীর জানান, সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের কথা গোড়াতেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তাতে শাহ বলেন, “খবরের কাগজ পড়ে এত গুরুতর কথা বলছেন অধীর, যা কিনা দেশে সীমান্তের সঙ্গে জড়িত। সংসদে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কাম্য নয়।” কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে সংসদে আলোচনার পথে যাচ্ছেই না বলে শাহকে জবাব ছুড়ে দেন অধীর। তিনি জানান, জওহরলাল নেহরু দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কখনও গোপন আলোচনা করেননি। যা কথা হয়েছে, খোলাখুলি হয়েছে।  সে ক্ষেত্রে মোদি সরকার কেন আলোচনায় আগ্রহী নয়, প্রশ্ন তোলেন অধীর।