তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই গ্রুপের সদস্য় সব মিলিয়ে ২২। ২জন কলেজ পড়ুয়া প্রাপ্তবয়স্ক। বাকিরা সবাই দিল্লি-এনসিআরের অন্তত চারটি নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া। গতকাল গোষ্ঠীর দশজনকে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রুপের চিহ্নিত সদস্যদের যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সাইবার অপরাধ দমন শাখা গ্রুপের সদস্যদের সম্পর্কে ফেসবুক মালিকানাধীন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং মঞ্চ ইনস্টাগ্রামের কাছে তথ্য চেয়েছে, সেজন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। গ্রুপের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তুতে ছিল তার এক সদস্যের একটি মন্তব্য, যাতে সহপাঠী ছাত্রীকে কয়েকজন ছেলেকে জুটিয়ে ধর্ষণের কথা ছিল। তাছাড়াও ছিল স্কুলের মেয়েদের একাধিক ছবি, তার সঙ্গে তাদের সম্পর্কে নানা যৌনগন্ধী মন্তব্য। ছিল ইনস্টাগ্রামে মেয়েদের পোস্ট করা ছবির প্রতিলিপি, তার সঙ্গে যৌন ইঙ্গিতবাহী ও হিংস্র মন্তব্য।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রুপেরই একটি ছেলে কথোপকথনের স্ক্রিনশট তুলে কাউকে পাঠায়। সেটি কোনওভাবে তাদের আলোচনার নিশানা হওয়া মেয়েদের কেউ সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। তখনই গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়।
পুলিশ তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের নানা ধারা, পর্নোগ্রাফির বিষয়বস্তু ছড়ানো ও মেয়েদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা প্রয়োগ করেছে।
গত সোমবার সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির একটির কর্তৃপক্ষ, যেখানে গোটা বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়া ছাত্রটি পড়ে, দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। এক তদন্তকারী বলেছেন, ওই স্ক্রিনশট জনসমক্ষে আসার সঙ্গে সঙ্গে গ্রুপটি ভেঙে দিয়ে নতুন একটি খুলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে তাতে কয়েকটি মেয়েকেও ঢোকানো হয়।
আসল গ্রুপটি এপ্রিলের গোড়ায় খোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার।