নয়াদিল্লি: করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ওমিক্রনের প্রভাব বেড়েছে ক্রমেই। দেশে প্রতিদিনই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (health expert) তাই পরামর্শ দিচ্ছেন যে প্রাপ্ত বয়স্করা যেন দ্রুত কোভিড ভ্যাকসিন অবশ্যই নিয়ে নেন। এমনকী করোনার যাবতীয় নিয়মাবলী যেন তাঁরা মেনে চলেন, সেই বিষয়ও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 


রেনবো চিল্ড্রেন্স হাসপাতালের চিকিৎসক, ড: নীতিন ভার্মা বলেন, ''শিশুরা দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন চলে এসেছে। তা ছড়িয়েও যাচ্ছে দ্রুত। এই পরিস্থিতিতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত হতে পারে। তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।'' তিনি আরও বলেন, ''সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত শিশুদের জন্য সেভাবে ভ্যাকসিন কার্যকলাপ শুরু হয়নি। কিছু জায়গায় পাঁচ বছরের বেশি শিশুদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি প্রাপ্ত বয়স্করা সবাই ভ্যাকসিন নিয়ে নেই। একইসঙ্গে যদি কোভিডের যাবতীয় নিয়মবিধি মেনে চলি, তবে কিন্তু শিশুদের অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখা যাবে।''


গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক ধীরেন গুপ্তা বলছেন, ''দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে ওমিক্রন ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ৫ বছরের নীচে শিশুরা বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছে ও হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে।''


 বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ভারতেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে দেশে ফের করোনার নতুন ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন আইআইটির বিজ্ঞানী মনীন্দ্র আগরওয়াল। আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে বিজ্ঞানী বলেন যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ ফের শিখর ছোঁবে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে দেড় লক্ষ পর্যন্ত হবে।


এই বিজ্ঞানী ম্যাথমেটিকাল প্রোজেকশনের মাধ্যমে করোনা ঢেউয়ের এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ভারতকে কতটা সতর্ক হতে হবে? সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মনীন্দ্র জানান, "নতুন এই প্রজাতির জেরে দেশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি হবে। যদিও দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকে অনেকটা প্রাবল্য কম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই করোনাগ্রাফে স্বস্তি, ১৮ মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ