নয়াদিল্লি: দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছনোয় ডাক্তাররা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, ক্রনিক বুকে সংক্রমণ হয় বলে তিনি যেন কয়েকদিন রাজধানীর বাইরে থাকেন। সেই পরামর্শ মেনে গোয়ায় গেলেন সনিয়া গাঁধী। সূত্রের খবরে প্রথমে বলা হয়, তিনি গোয়া বা চেন্নাইয়ের মধ্যে কোনও এক জায়গায় যেতে পারেন। সঙ্গে থাকবেন রাহুল গাঁধী বা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। পরে নিশ্চিত করে জানানো হয়, কংগ্রেস সভানেত্রী গোয়া চলে গিয়েছেন, অন্তত ১০ দিনের জন্য, সঙ্গে আছেন রাহুল। তবে একটি সূত্রের দাবি, সনিয়া প্রতি বছরই এ সময়ে গোয়া যান। গত বছর জানুয়ারিতেও কিছুদিনের জন্য গোয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সাইক্লিংয়ের ছবি সোস্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।


দিল্লিতে ভয়াবহ দূষণের জেরে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতাও তীব্র হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটেই কংগ্রেস সভানেত্রীর রাজধানী ত্যাগ।
সনিয়া গত আগস্টে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রচুর ওষুধপত্রের মধ্যে রয়েছেন। বুকে সংক্রমণ লেগেই থাকছে তাঁর। দূষণের জন্য কিছুতেই তা কমছে না। ফলে তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ডাক্তারদেরও। তাঁরা বলেছেন, দিল্লির দূষণে তাঁর অ্যাজমা, বুকের সমস্যা বেড়েছে। সেজন্য়ই কয়েকটা দিন তাঁকে দিল্লির বাইরে কাটিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
এমন সময় তিনি রাজধানীর বাইরে গেলেন যখন বিহার ভোটে দলের শোচনীয় ফলের প্রেক্ষিতে কংগ্র্রেসে আত্মসমীক্ষার দাবি উঠছে। দলের কিছু নেতা খোলনলচে বদলে সংগঠন ঢেলে সাজার দাবি জানিয়ে তাঁকে চিঠিও লিখেছেন।
সনিয়া গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১২সেপ্টেম্বর তিনি কয়েকদিনের জন্য বিদেশে যান রুটিন মেডিকেল চেক আপে। সঙ্গী ছিলেন রাহুল। করোনা অতিমারী পর্বে ১৪ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বিশেষ পরিস্থিতিতে সংসদের অধিবেশন বসেছিল। তাতে থাকতে পারেননি তাঁরা।