মস্কো : প্রায় ২৮ জনকে নিয়ে সমুদ্রে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার বিমান। অবতরণের সময় বিমানটি ভেঙে পড়ে। রাশিয়ার কামচাটকা পেনিনসুলার ঘটনা। সংবাদ সংস্থা আরআইএ সূত্রের খবর।


অ্যান্টোনভ অ্যান ২৬ টুইন ইঞ্জিন টার্বোপ্রপ বিমানটি পেট্রোপ্যাভলস্ক-কামচাটস্কি থেকে পালানা যাচ্ছিল। কামচাটকা পেনিনসুলার উত্তরে রয়েছে এই গ্রামটি। এয়ার ট্র্যাফ্রিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে বিমানটি। একটি সূত্র বলছে, বিমানটি অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু, খারাপ দৃশ্যমানতার কারণে কোনও খাঁড়াইয়ে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে। রাশিয়ার অসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমার্জেন্সি মন্ত্রকের তরফে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের খোঁজে একটি হেলিকপ্টার সহ দল পাঠানো হয়েছিল। তারা দুর্ঘটনাস্থানটি খুঁজে পেয়েছে। 


মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটিতে ২২ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। TASS এজেন্সি সূত্রে খবর, ওই যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন পালানার মেয়র ওগলা মোখিরেভা। যখন বিমানটি হারিয়ে যায় সেই সময় ওই এলাকাটি মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উল্লেখ্য, বিমানটি ১৯৮২ সাল থেকে পরিষেবা দিচ্ছিল। এর উড়ানে রাশিয়ান অ্যাভিয়েশন সেফটি স্ট্যান্ডার্ডের অনুমতিও ছিল। কিন্তু, এই ধরনের পুরানো বিমানগুলি প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। সোভিয়েত আমলের এই বিমানগুলি এখনও কিছু দেশে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে এই ধরনের বিমান পরিষেবায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে একাধিক ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখা গেছে। 


অ্যান আন্টোনভ ২৮-ও একই ধরনের বিমান। ২০১২ সালে কামচাটকার জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল। এই দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই পথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তদন্তকারীরা তখন জানিয়েছিলেন, দুই পাইলটই মদ পান করেছিলেন।


সম্প্রতি ফিলিপিন্সে বিমান দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার একটি C-130 সেনা বিমান ভেঙে পড়ে দক্ষিণ ফিলিপিন্সে। বিমানটিতে ৮৫ জন সেনাকর্মী ছিলেন। ৮৫ জনের মধ্যে প্রথমে ৪০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ জ্বলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। তার মধ্যেই উদ্ধারকার্য চালানো হয়। প্রথমে ১৭ জনের মৃতদেহ মেলে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ জনে।