কাবুল: জঙ্গিরা কাবুল দখল করতেই দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। আফগান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের খবরের মাঝেই বদলে গেল কাবুলের চিত্র। ঘনির দেশ ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছে টোলো নিউজ। নিরাপত্তারক্ষী ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়েই তিনি কাবুল ছেড়েছেন বলে খবর।


এদিন সকাল থেকেই ঘটনার ঘনঘটা কাবুল জুড়ে।  তালিবান জঙ্গিরা রাজধানীতে প্রবেশ করতেই শুরু হয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তোলপাড়। খবর রটে, তালিবানদের কাছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করবে আফগানিস্তানের সরকার। সেই নিয়ে বিবৃতিও দেন দেশের অ্যাক্টিং ইন্টিরিয়র মিনিস্টর আবদুল সতর মীরজাকউল। টোলো নিউজকে তিনি বলেন, ''আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।'' বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলতে থাকে আফগানিস্তানে ঘনির পদত্যাগ এখন সময়ের অপেক্ষা। 


 তালিবান নিয়ে বেঁকে বসলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট


যদিও তালিবান জঙ্গিদের কাছে নতি স্বীকারের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।তিনি বলেন, ''তালিবানদের কাছে কখনোই মাথা নোয়াতে পারব না। যে লক্ষাধিক দেশবাসী আমাকে সমর্থন করেন, তাদের কথা ভেবে আমি পিছু হটব না।'' এরই মাঝে দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। দেশবাসীকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ''দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব প্রস্তাব বা দরজা খোলা রাখা হয়েছে।''


পরিসংখান বলছে, দেশের ৩৪ টি প্রদেশের রাজধানীর মধ্যে প্রায় সবই তালিবানদের দখলে চলে এসেছে। কাবুল বাদে বাকি রয়েছে ৬টি প্রদেশের রাজধানী। রবিবার তালিবান মুখপাত্র কাবুলের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ঢুকতেই তড়িঘড়ি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে রাশিয়া। এই খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।রাশিয়ার তরফে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা ভেবেই দ্রুত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক পরিকল্পনা করা হয়েছে।


এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। কাবুলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে সরকারের সঙ্গে তালিবানদের আলোচনার কথা নিশ্চিত করেছে তালিবান মুখপাত্র। এদিন প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ক্ষমতার শাস্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিয়ে কথা বলতে যায় তালিবান মধ্যস্থতাকারীরা। এর আগেই সংবাদ সংস্থাগুলিকে তালিবানের মুখপাত্র জানায়, জোর করে কাবুল দখল করতে চায় না তারা। তাদের ভয় পেয়ে শহর ছাড়তে হবে না স্থানীয়দের। তালিবানরা স্থানীয় আফগানিদের সম্পত্তির কোনও ক্ষতি করবে না। কারও প্রতি কোনও ধরনের প্রতিশোধ নিতে আসেনি তারা।