কাবুল: তালিবানরা কাবুলে প্রবেশ করতেই দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি।তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মুহিব।তালিকায় নাম রয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক অফিসের প্রধান ফজল মাহমুদ ফজলির।
আফগান মিডিয়া জানিয়েছে, তালিবান আগ্রাসনের জেরে আগেই দেশ ছেড়েছেন একাধিক সাংসদ। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন আফগান সংসদের অধ্যক্ষ মীর রহমান রহমানি। তাঁর সঙ্গেই ইসলামাবাদের রাস্তায় হেঁটেছেন ইউনুস কানুনি, মুহাম্মদ মুহাকেক, করিম খলিলি, আহমদ ওয়ালি মাসুদ ছাড়াও সাংসদ আহমেদ জিয়া মাসুদ।
এদিকে আফগান প্রেসিডেন্টের এই দেশ ত্যাগের ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে দেশে। আশরফ ঘনির দেশত্যাগ মেনে নিতে পারেননি ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশন-এর উচ্চ পরিষদের প্রধান আবদুল্লা আবদুল্লা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''বিপদের সময় দেশের মানুষদের ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।আফগানবাসী তাঁর বিচার করবে।'' একটি ভিডিয়ো বার্তায় এই কথা বলেছেন আবদুল্লা।
তবে আবদুল্লা একা নন, খোদ ঘনির নাম না করে ধিক্কার জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লা রহম্মদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ''আমাদের হাত পিছনে বেঁধে দিয়ে দেশ বিক্রি করে পালালেন। ওই ধনী লোক ও তাঁর দলবলকে ধিক্কার জানাই।''
এদিন তালিবান জঙ্গিরা রাজধানীতে প্রবেশ করতেই শুরু হয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে তোলপাড়। খবর রটে, তালিবানদের কাছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করবে আফগানিস্তানের সরকার। সেই নিয়ে বিবৃতিও দেন দেশের অ্যাক্টিং ইন্টিরিয়র মিনিস্টর আবদুল সতর মীরজাকউল। টোলো নিউজকে তিনি বলেন, ''আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।'' বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলতে থাকে আফগানিস্তানে ঘনির পদত্যাগ এখন সময়ের অপেক্ষা।
যদিও তালিবান জঙ্গিদের কাছে নতি স্বীকারের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।তিনি বলেন, ''তালিবানদের কাছে কখনোই মাথা নোয়াতে পারব না। যে লক্ষাধিক দেশবাসী আমাকে সমর্থন করেন, তাদের কথা ভেবে আমি পিছু হটব না।'' এরই মাঝে দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। দেশবাসীকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ''দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব প্রস্তাব বা দরজা খোলা রাখা হয়েছে।''