জালালাবাদ: চুপ করে থাকল না জালালাবাদ। আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল জনতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। যাতে মৃত্যু হয়েছে এক প্রতিবাদকারীর। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন।


মুখে বাক স্বাধীনতার কথা বললেও কাজে দেখা যাচ্ছে না তার প্রতিফলন। আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রতিবাদ দমাতে গুলি চালাল জঙ্গিরা। লাঠিপেটা করা হয়েছে প্রতিবাদকারীদের। বুধবার দেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। নামিয়ে দেওয়া হয়  তালিবানের পতাকা। এরপরই বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা।


প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, এদিন ১৯১৯ সালের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির দিন উদযাপন করতে জালালাবাদে একত্রিত হন তাঁরা। সেখানে জাতীয় পতাকা তুলে ধরেন তাঁরা। নীচে নামিয়ে দেওয়া হয় তালিবানের সাদা পতাকা। পরে ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়, ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করছে জঙ্গিরা। ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি ছোড়ে তালিবান।


এই ভিড়ের মধ্যেই তালিবান জঙ্গিদের রোশের শিকার হন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি বাবরাক আমিরজাদা। তিনি জানান, তালিবানের হামলার ভিডিয়ো শ্যুট করতে গেলেই বিপদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। জঙ্গিরা তাঁকে ও আরও এক নিউজের ক্যামেরাম্যানকে মারধর করে। সম্প্রতি আফিগানিস্তানে ক্ষমতায় এসেই 'সুর বদলে' ফেলেছে তালিবান। মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা শোনা যায় জঙ্গিদের মুখে। যদিও বাস্তবে দেখা গেল, 'তালিবান আছে তালিবানেই'।


এদিকে, তালিবান আফগানিস্তান দখল করতেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করছে আফগানিস্তানের  বাসিন্দারা। অসুস্থ রোগী ছাড়াও দেশ বদলের দলে রয়েছে আফগান-তালিবান বন্দিরা। রিপোর্ট বলছে, গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের চমন সীমানা দিয়ে হাজারেরও বেশি আফগানি দেশে প্রবেশ করেছে।


মঙ্গলবার থেকেই বর্ডার খুলে দেয় পাকিস্তান। প্রামাণ্য আফগান নাগরিকের নথি থাকলে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে আফগান শরনার্থীদের। অল জজিরা নিউজ চ্যানেলকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বেশকিছু পর্যটক ও আফগানিস্তান অথরিটি। শরনার্থীদের বেশিরভাগের দাবি, আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে প্রবীণ নাগরিক তথা অসুস্থদের নিয়ে পাকিস্তানে আসতে হচ্ছে আফগান নাগরিকদের।