কাবুল : বিমানের চাকায় মিলেছে দেহাংশ। আতঙ্কের আফগানিস্তানে আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি। আমেরিকার দাবি, আফগানিস্তান ফেরত মার্কিন বায়ুসেনার C-17 গ্লোবমাস্টার কাতারের আল-উদেইদ সেনা ঘাঁটিতে নামার পর বিমানের চাকায় মেলে দেহাংশ। ওই বিমানে চড়েই দেশ ছেড়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ চড়ে বসেছিলেন বিমানের চাকার ওপর। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 


তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরে ভিড়ের ছবি আমাদের সকলের দেখা। তালিবানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষকে হুড়োহুড়ি করতে দেখা যায়। কেউ কেউ রানওয়ে দিয়ে এগনোর সময় বাইরে থেকেই আঁকড়ে ধরে বিমানকে। তার জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে। কোনওক্রমে যাঁরা বিমানে উঠে পড়েন তাঁরা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভিড়ে ঠাসাঠাসি হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। মঙ্গলবার আরও একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনল আমেরিকা বায়ুসেনা। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বেপরোয়া হয়ে আফগানরা তালিবানদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। ওই বিশৃঙ্খলায় কাবুল ছাড়ার পর আমেরিকার সামরিক বিমানের চাকায় একটি মৃতদেহও পাওয়া যায়। কাতারের আল-উদেইদ সেনা ঘাঁটিতে নামার পর বিমানের চাকায় মেলে ওই দেহাংশ।


অন্যদিকে, মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩২০০-রও বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করেছে মার্কিন সেনা। শুধুমাত্র গতকালই উদ্ধার করা হয়েছে এগারোশো জনকে।


প্রসঙ্গত, তালিবান কাবুলে প্রবেশ করার পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি রবিবারই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি চার গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আফগানিস্তান ছেড়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিব, প্রেসিডেন্টের দফতরের প্রধান আধিকারিক ফাজেল মাহমুদ। আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার মীর রহমান রহমানি, ইউনূস কানুনি, মহম্মদ মুহাকেক, করিম খলিলি, আহমেদ ওয়ালি মাসুদ ও আহমেদ জিয়া মাসুদ ইসলামাবাদে পালিয়ে গিয়েছেন বলে আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এছাড়া আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্যও ইসলামাবাদে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।