নয়া দিল্লি : একদল পাকিস্তানির হাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। তাঁর ভূমিকায় আফগানরা হতাশ। জানালেন পপ তারকা আরিয়ানা সৈইদ। একই সঙ্গে তাঁর আশঙ্কা, গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে আফগানিস্তান। কাবুলে কাটানো শেষের কয়েক ঘণ্টার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন আরিয়ানা।


সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "গত আট মাস ধরে আফগানিস্তানে ছিলাম। হঠাৎ করে সেখানে সব কিছু পাল্টে গেল। তালিবানরা কাবুলে এসে ক্ষমতা দখল করে নিল। কাজেই, আফগানিস্তান ত্যাগ করা ছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না। খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। বিষয়টা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার কাছে। একজন গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি আমি ভীষণ স্পষ্ট বক্তা। যখন আফগানিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন তালিবানরা গোটা দেশে চেকপয়েন্ট বসিয়ে দিয়েছে। আমরা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সবথেকে চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল বাড়ি থেকে বিভিন্ন চেকপয়েন্ট এড়িয়ে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছনো। সৌভাগ্যবশত আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছিলাম। এই দলে ছিলেন আমার বাগদত্তা, আমি এবং আরও একশো জন। যাঁদের আমেরিকার পাসপোর্ট রয়েছে।  


অগাস্টে ১৫ তারিখে গোটা আফগানিস্তান জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। পপ তারকা বলেন, "প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা চলছিল। ১৫ অগাস্ট আমাদের ফ্লাইট ছিল। কমার্সিয়াল ফ্লাইটে টিকিট বুক করেছিলাম। কিন্তু, দুর্ভাগ্যক্রমে ওইদিন তালিবানরা কাবুলের দখল নেয়। রাত ৮টায় বিমান ছিল। বিমানবন্দর হাজার হাজার মানুষ, শিশুতে ভরে গিয়েছিল। যখন আমরা বিমানবন্দর পৌঁছই, তখনও পর্যন্ত সেখানে তালিবানরা যায়নি। কিন্তু, বিমানবন্দরের ভিতরে থাকার সময় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। তা শুনতে পেয়ে বিমানবন্দরের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী, পাইলটরা পালাতে শুরু করেন। বিমান ছাড়ছিল না। আমরা শুনতে পাই, তালিবানরা চলে এসেছে। যে কোনও সময় ভিতরে ঢুকে যাবে।"  


নিজের কেরিয়ারের ব্যাপারে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বাইরেও আমার কেরিয়ার ছিল। আমার গান ও অর্থ আফগানিস্তান ও আফগানদের উদ্দেশ্য উৎসর্গ করব। সেটাই এখনও আমার মূল লক্ষ্য।