ওয়াশিংটন : নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। তাই কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাবেন না। আফগানিস্তানে থাকা আমেরিকানদের উদ্দেশে এই সতর্কবার্তা জারি করল আমেরিকার দূতাবাস। দূতাবাসের তরফে নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যাঁরা অ্যাবে, পূর্ব, উত্তর ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের গেটের দিকে রয়েছেন, তাঁদের এখনই ওইসব জায়গা ত্যাগ করা উচিত। 


আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্ধারিত ৩১ অগাস্ট সময়সীমার মধ্যে আরও হামলা হতে পারে বলে আমেরিকার তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দূতাবাসের উপদেশ।


প্রসঙ্গত, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখা কাবুল বিমানবন্দরে হামলার দায় নিয়েছে। তার পরেই জো বাইডেন হুঙ্কার দেন, হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবে। মূল্য চোকাতে হবে হামলাকারীদের। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকির তরফে বলা হয়, আগামী কয়েক দিন "আমাদের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়" হতে চলেছে।


আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা সহ ১৭২ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। জখম শতাধিক। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে আরেকটি হামলার হুমকির মধ্যে মার্কিন বাহিনী জোরদার নিরাপত্তার মধ্যে কাজ করছে। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, কিছু গেট বন্ধ ছিল এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। তালিবান চেকপয়েন্টে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং গেটের আশপাশে কম লোককে জড়ো হতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তালিবানদের গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলার সম্ভাবনার কারণে নির্দিষ্ট রাস্তা বন্ধ করতে বলা হয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর তরফে। পেন্টাগনের মতে, এসি ১৩০ গানশিপ ব্যবহার সহ নজরদারি এবং সুরক্ষার জন্য বিমানবন্দরে মানব ও মানবহীন বিমান চলাচল করবে।


মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যথাযথ পরিচয়পত্রসহ অন্যদের এখনও প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রায় ৫,৪০০ জন বিতাড়িত এখনও কাবুল বিমানবন্দরে ফ্লাইটের অপেক্ষায় রয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আফগানিস্তান তালিবানরা দখলের পর আরও হাজার হাজার মানুষ সেদেশ ত্যাগ করতে মরিয়া।