নয়াদিল্লি: কয়েক ডজন নির্দলের পিছনে দাঁড়িয়ে ৬ ঘন্টার বেশি অপেক্ষার শেষে অবশেষে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন অরবিন্দ কেজরিবাল। মঙ্গলবার জামনগর হাউসে দীর্ঘ লাইন পড়ে নির্দল প্রার্থীদের। তাঁদের অনেক পিছনে পড়ে যান তিনি। কেজরিবালের টোকেন নম্বর ছিল ৪৫। রিটার্নিং অফিসারের (আর ও) কক্ষে টানটান নাটক চলে, যার জেরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দল আমআদমি পার্টি (আপ) বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে দাবি করে, স্রেফ কেজরিবালের মনোনয়ন আটকাতে ৩৫ জনকে পাঠিয়েছে তারা!
কেজরিবাল সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি রোড শোর জন্য বিলম্বের কারণে। আজ তিনি অপরাহ্নে বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার অপেক্ষা করছি। আমার টোকেন নম্বর ৪৫। এখানে অনেকেই মনোনয়ন পেশ করতে এসেছেন। খুব খুশি হয়েছি এত লোককে গণতন্ত্রে সামিল হতে দেখে।



আপের দাবি, ৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নের কাগজপত্র সম্পূর্ণ তৈরি ছিল না। তাঁরা গোঁ ধরে থাকেন, তাঁদের মনোনয়ন গ্রহণ না হলে কেজরিবালকে কাগজপত্র জমা দিতে দেবেন না।
আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ ট্যুইট করেন, আর ও অফিসে প্রায় ৩৫ জন প্রার্থী বসে আছেন। ওঁদের ঠিকঠাক কাগজপত্র নেই। ১০ জন প্রস্তাবকও নেই। ফোনে প্রস্তাবকদের ডাকছেন। তাঁরা অনড় হয়ে আছেন, তাঁদের কাগজপত্র তৈরি করে মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া না হলে মুখ্যমন্ত্রীকেও মনোনয়ন জমা দিতে দেবে না। যদিও ভরদ্বাজের ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া দিতে কেজরিবাল বলেন, এটা কোনও বিষয় নয় কেননা ওঁদের অনেকেই প্রথমবার মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন। ওঁদের ভুল হতেই পারে। প্রথমবার আমরাও ভুল করেছি। ওঁদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ওঁদের সঙ্গ উপভোগ করছি। ওঁরা সবাই আমাদের পরিবারেরই অংশ।
গাইডলাইন অনুসারে মনোনয়ন দুপুর তিনটে পর্যন্ত পেশ করা হয়। তবে যে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য টোকেন নিয়ে ফেলেছেন, তাঁরা নির্ধারিত সময়সীমার পরও মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন।


গোটা বিষয়ের পিছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়া। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, বিজেপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, কেজরিবালের মনোনয়ন পেশ বা তৃতীয়বার তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে পারবে না। চক্রান্ত করে কোনও লাভ হবে না তোমাদের।