উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: জেল থেকে মুক্তির পর, বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পা রাখলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। ৪২ দিন জেলে কাটিয়ে, ভাঙা গাড়িতে চেপে এদিন বিধানসভায় এলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বাজেট অধিবেশনের সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে নৌশাদকে। তবুও আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না বলে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন আইএসএফ বিধায়ক। 


লড়াই জারি থাকবে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বললেন নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। জেল চত্বরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। নৌশাদের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 


জেলমুক্তির পর নৌশাদ বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীই আমাকে জনপ্রিয় করে দিলেন, আমার এত সমর্থক ছিল না।' ৪০ দিন পর, বৃহস্পতিবার মিলেছিল জামিন। কিন্তু, রিলিজ অর্ডার না আসায়, শুক্রবারও থাকতে হয়েছে জেলেই। শেষমেশ শনিবার হল জেলমুক্তি। জেলের বাইরে আইএসএফ বিধায়ককে স্বাগত জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। জেল থেকে বেরোতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আইএসএফের কর্মী, সমর্থকরা। এরপর হুডখোলা গাড়িতে ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেন নৌশাদ।                                                                             


জেল থেকে বেরিয়ে আইএসএফ বিধায়ক কৌস্তভ বাগচীর পক্ষেও কথা বলেন। তিনি বলেন, 'লড়াই জারি থাকবে। আমাকে আটকে রেখে লাভ হল না। যে ভাবে কৌস্তভকে গ্রেফতার করল লাভ নেই। গ্রেফতার বেআইনি। পাশে আছি'। 


আরও পড়ুন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত' মন্তব্য দিলীপের


প্রসঙ্গত, ২১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF নেতা-কর্মীরা। আঁচ এসে পড়ে কলকাতাতেও। ISF-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার হন নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ আরও অনেকে।


আটকের সময় নৌশাদ বলেছিলেন, হয়তো ভাবছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাকে আটকে রেখে কিছু করতে পারবে। কিন্তু আইএসএফকে এভাবে আটকানো যাবে না। আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানান নৌশাদ। একইসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ভেবেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁর হয়ে কিছু বলবেন। তবে তিনি আইনের পথেই হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন নৌশাদ সিদ্দিকি।