এই প্রথম মায়ানমার সরকার ভারতের অনুরোধ মেনে উত্তরপূর্ব ভারতের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নেতা, কর্মীদের নয়াদিল্লির হাতে তুলে দিল। জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা ডোভালের অপারেশনকেই এজন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। এটা ভারত,মায়ানমারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ফল হিসাবেও দেখা হচ্ছে।
মায়ানমার থেকে ওই সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে আসা বিমানটি প্রথমে নামে ইম্ফল, পরে গুয়াহাটিতে। দুটি রাজ্যে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয় ওই সন্ত্রাসবাদীদের।
মায়ানমার আজ যাদের প্রত্যর্পণ করল, তাদের মধ্যে আছে এমন ১২ জন যারা ইউএনএলএফ, প্রিপাক (প্রো), পিএলএ-র সদস্য, বাকি ১০ জন অসমের জঙ্গি গোষ্ঠী এনডিএফবি (এস) ও কেএলও-র।
দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মহলে এমন আলোচনাও হচ্ছে যে, সাম্প্রতিক কয়েকটি বছরে ডোভালের নেতৃত্বে ভারত, মায়ানমারের মধ্যে সামরিক বোঝাপড়া উন্নত হয়েছে।