কলকাতা: সোনালি গুহর পর এবার সরলা মুর্মু। ভোটের আগে দলত্যাগ করে বিজেপিতে গিয়েও ফের পুরনো দলে ফিরতে চান তিনি। বিধানসভা ভোটে হবিবপুর থেকে সরলা মুর্মুকে প্রার্থী করে তৃণমূল। এরপরই তিনি দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেও ভোট প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি সরলা মুর্মুকে। ভোটের ফল ঘোষণার পর এবার ফের তৃণমূলে ফিরতে চান সরলা। তিনি জানিয়েছেন, ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেই ফিরতে চাই।
মালদার হবিবপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যোগদানের পর তিনি বলেছিলেন, "তৃণমূল থেকে শুধু পোস্ট দেওয়া হয় কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না। অনেক নেতা কাজ করতে বারণ করে। শান্তি-শৃঙ্খলা কিছুই নেই। আমি কখনও চাইনি ওখানকার প্রার্থী হব। বিজেপি থেকে আমরা কিছুই চাইছি না। নিঃস্বার্থে দলে যোগ দিয়েছি।"সরলা মুর্মু তখন দাবি করেছিলেন, মালদার বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, সরলা মুর্মুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই হবিবপুর আসনে তাঁর পরিবর্তে তৃণমূল প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছিল।
ভোটের পর তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁরা রাগ-অভিমানে দল ছেড়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনিও তৃণমূলে ফিরতে চান। সরলা মুর্মু বলেছেন, মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতে চান। এবং জেলা পরিষদে যে, আস্থা ভোট রয়েছে, সেখানে তিনি তৃণমূলের হয়ে ভোট দিতে চান।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, শুধু সোনালি গুহ বা সরলা মুর্মুই নন, আরও অনেক নেতাই তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন বা যোগ দিতে চেয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দিলীপ ঘোষ এ ব্যাপারে বলেছেন, বিজেপি বড় দল। অনেকেই যোগ দেন দলে। এখন ওঁরা কেন যোগ দিয়েছিলেন, কেনই বা চলে যাচ্ছেন, তা ওঁরাই বলতে পারবেন।
বিস্তারিত আসছে...