নয়াদিল্লি: সকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পর বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বাড়িতে গেলেন জগদীপ ধনখড়। তিনদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করেন জগদীপ ধনকড়। দেখা করার আগেই ট্যুইটে সেকথা জানান নিজেই। গতকাল দিল্লিতে কয়লা, সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। লোকসভার স্পিকার, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। 


ফের দিল্লির-দরবারে রাজ্যপাল। গতকাল কয়লামন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পর আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন জগদীপ ধনকড়। সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা।


রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতকে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার বলে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড়ের দিল্লি-সফরকে কটাক্ষ করে আজ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'কেউ বাচ্চা হলে তাকে বকে চুপ করানো যায় । পাল্টা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, রাজ্যপাল এখন তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।'


'রাজ্যপাল বিজেপির লোক, ওনার অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রকে তিনবার চিঠি দিয়েছি, বৃহস্পতিবার একথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল যখন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি, তারপর অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করছেন, তখন রাজভবনে পালাবদলের জল্পনাও ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতিতে। এই প্রেক্ষাপটে আজ মমতা বলেন, ‘যখন রাজ্যপাল করা হয়েছে, জিজ্ঞেস করা হয়নি। নিয়ম আছে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করার। করা হয়নি। আসা-যাওয়ার গানটা ওরা একাই গায়।’


তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার দিন থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব রাজ্যপাল ধনকড়। যদিও, সংঘাতের সূত্রপাতটা শুরু থেকেই। অর্থাত ২০১৯ থেকেই। কিন্তু, দিন যত গড়িয়েছে, বৈরিতা তত বেড়েছে। কার্যত এমন কোনও ইস্যু নেই যাতে ধনকড়-সরকার সংঘাত বাধেনি।


এখন রাজ্যপাল যখন দিল্লিতে, তখন রাজভবনে পালাবদলের জল্পনাও ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে। এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল নিয়োগ এবং অপসারণ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।