অসুস্থ শিক্ষকের দাবি, দোরে দোরে মাথা কুটেও মেলেনি প্রাপ্য টাকা, পেনশন। ওষুধ কেনার টাকা নেই। লকডাউনে কাজ হারিয়েছে ছেলে। সরকারি বিনামূল্যের রেশনের চাল-ডালে কোনও মতে চলছে সংসার। তাই অভাবের অন্ধকারে জীবনের শেষ সুতোটুকুও ছিঁড়ে ফেলতে চান তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের এই শিক্ষকের দাবি, হুগলির এক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। রাজনৈতিক জটিলতায় তাঁকে এক বছর ছুটি নিতে বলা হয়। সেই ছুটি শেষে তিনি আর চাকরি ফেরত পাননি। ২০০১ সালে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু অবসরের পরেও প্রাপ্য টাকা ও পেনশন পাননি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁর ছেলের অভিযোগ, একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে পেনশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন আমারও কাজ নেই। সরকারি চাল-ডাল পাচ্ছি। কষ্টের মধ্যে সংসার চলছে।
ঘটনার কথা জানতে পেরে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের। তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে জেনেছে। দুঃখজনক ঘটনা। আমি শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করব যাতে তিনি ন্যায্য পাওনা পান।